পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মুখের দিকে তাকাইয়া দেখি, তিনি স্থির দৃষ্টিতে বিরক্তভাবে আমার পায়ের দিকে চাহিয়া আছেন । কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিবার পর উড়ো সাহেব বলিলেনতুমি চটিটি ঘরের বাইরে খুলে রেখে এসে তারপর আমার হাতে চিঠি দাও । কিন্তু সাহেবকে চিঠি দেওয়ার সহিত চটি খোলার কোন সম্বন্ধ বা প্রয়োজনীয়তা আমি খুজিয়া পাইলাম না । কাজেই তঁহার ঐ প্ৰস্তাবে কি করিয়া সম্মত হইব ? সাহেবও ছাড়িবার পাত্ৰ নন, আমার হাত হইতে তিনি পত্ৰ গ্ৰহণ করিবেন না। অতঃপর এক বাকবিতণ্ডা সুরু হইল উড়ো কহিলেন-তুমি আমায় অপমান করেছা! সবিস্ময়ে বলিলাম-অপমান ? কিরূপে তা করলাম ? উড়ো বিরক্ত হইয়াই বলিলেন – পায়ের চটি না খুলে পত্ৰ দেওয়াকে আমি অপমান বলেই মনে করি । আমার তখন বয়স অল্প, দেহে মনে তেজের অভাব নাই । সাহেবের কথা শুনিয়া স্বদেশিকতা বোধ জাগ্রত হইয়া উঠিল। একটু তীব্ৰ ভাবেই তাহার কেরাণীর পায়ের দিকে চাহিয়া অঙ্গুলি সঙ্কেতে বলিলাম—সাহেব, তোমার কেরাণী ও দেখছি জুতো পরেই তোমার সামনে চলা ফেরা করছে, এতে তুমি অপমানিত বোধ ক’রছে না ? —না, কারণ সে তো জুতো পরে আছে। তুমি কি শোননি যে, আমার কক্ষে কেউ চটি পরে প্রবেশ করে না ? 之°C°C