পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ --আচ্ছা, তুমি যদি আমার সঙ্গে রাধাকান্ত দেবের বাড়ী যাও, তা হ’লে তার কক্ষেও কি চটি পরেই ঢুকবে ? — না, ভাব কক্ষের বাইরে চুটি খুলে রেখে ঢুকবে, তার কারণ, আমার কথা শেখ হইতে না দিয়া হত। তিনি বলিলেন-- তবে আমার কক্ষে*কেন"তুমি চটি পরে ঢুকবে ? --সেই ‘কেন’র উত্তরাই তো দিতে চাইছিলাম, কিন্তু তুমি তা শুনলে কাঠ ? উড়ো সাহেব রাগত কণ্ঠে কহিলেন--ঠিক আছে, তুমি কলেজে যাও । তোমাব মত অবাধ্য বালক আমি কখনো দেখিনি । কলেগে আসিয়া ঘটনাটি বন্ধুদের বলিবার সঙ্গে সঙ্গেই খবরটি চতুদিকে রাষ্ট হইয়া পড়ে। বলা বা গুল্য আমার মাতৃলেরও তাহা কৰ্ণগোচর হয়। দ্বারকানাথ এই ঘটনাটি কিভাবে গ্ৰহণ করিবেন তাই । লইয়া আমার মনে নানা আন্দোলন চলিতে ছিল । ইতিমধ্যে তিনি আমায় তাহার কক্ষে ডাকিয়া পাঠান এবং সমস্ত বিবরণ শুনিয়া আমার স্পষ্টবাদিত ও নিভীকতায় তিনি যারপরনাই আনন্দিত হন। তারপর ইংরেজদের এরূপ বিকৃত মনোভাবের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়া বলিতে লাগিলেন—দ্যাখো, জীবনে কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়বে না। জীবনে যত কিছু বাধা বিপত্তিই আসুক, সত্যে অবিচল থাকবে । তাহার নির্দেশমত উড়ো সাহেবের সহিত আমার সাক্ষাৎ ও &S)