পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ আমার সহানুভূতির পথ বাহিয়া আজ তাহা নিজেকে প্ৰকাশ করিল ও ভারমুক্ত হইল। বুঝিলাম, কেশবচন্দ্রের নারীশিক্ষালয়ে আমার কৰ্ম্মগ্রহণ বুদ্ধকে কি তীব্রভাবে আঘাত করিয়াছে । সেই সঙ্গে ইহাও মনে হইল যে, আমিই হয়ত বা তঁহার এ স্বাস্থ্যভঙ্গের জন্য দায়ী ।। ৫ কেশব সেনুকে সুব কথা জানাইয়া পত্র দিই ও নূতন বৎসরে উক্ত পদের জন্য অপর কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবার জন্য অনুরোধ জানাই। আমার ব্যক্তিগত সমস্যার গুরুত্ব বুঝিয়া তিনি এ প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করিলেন। মাতুলের কার্য্যভার সেদিন নিজ স্বন্ধে তুলিয়া নিয়া ও উর্তাহার বিশ্রামের ব্যবস্থা করিয়া আমি কতকটা তৃপ্তি লাভ করিলাম । দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত ছিল চিংড়িপোতার নিকটবৰ্ত্তী হরিনাভি গ্রামে। তঁহাকে বায়ু পরিবর্তনের জন্য বাহিরে পাঠাইয়া দিয়া আমি তাহার বিদ্যালয়, পত্রিকা ও গৃহের পরিচালকরূপে হরিনাভিতে বাস করিতে থাকি । এক বৎসর ব্যাপিয়া এই গুরু দায়িত্বভার বহন করিবার পক আমারও স্বাস্থ্যের খুব অবনতি ঘটে, কাজেই অতঃপর এখান হইতে ফিরিয়া আসিতে বাধ্য হই। ইহার পর সাউথ সুবাৰ্ব্বণ স্কুলে শিক্ষকতার কাজ লইয়া ভবানীপুরে বসবাস করিতে থাকি, কিন্তু পত্রিকার দায়িত্ব তখনও আমার উপর ন্যস্ত ছিল। কলিকাতা হইতে প্রেসের কাজ দেখা-শুনা করার অসুবিধা বুঝিয়া আমি প্রেসটি কলিকাতায় স্থানাস্তরিত করি। দ্বারকানাথ বেনারস R Rad