পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ছিল স্পষ্ট। বয়স ও স্বাস্থ্যহানির ফলে মাতুল নিজে পত্রিকাটির সকল দিক দেখিতে পারিতেন না।--বেতনভুক কৰ্ম্মীদের দ্বারাই উহ!ার অধিকাংশ কাৰ্য্য পরিচালিত হইত। ফলে দ্বারকানাথের প্ৰাণবন্ত ও মৰ্ম্মস্পশী পত্রিকা সোমপ্রকাশের লেখায় ক্ৰমে গতানুগতিকতার ছাপ পড়িতে থাকে। এই সময় কাশীধামেৰ্ব বিশ্বনাথ মন্দিরেব পুরোহিতদের অনাচারের বিরুদ্ধে তাঁহার লেখনী নিয়োজিত হইয়াছিল। তাহার রচিত কাব্যগ্রন্থ “বিশ্বেশ্বর বিলাপ”-এর কষাঘাত তখনকার শিক্ষিত সমাজে কম আলোড়নের সৃষ্টি করে নাই । দ্বারকানাথের সমগ্র জীবন ছিল সত্যধুতি-সত্য রক্ষার প্রতি নিষ্ঠার এতটুক অভাব আমি কোনদিন তাহার মধ্যে দেখি নাই । বহু বিরুদ্ধ পরিবেশ ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়া তিনি তাহার এই পবিত্র ব্রাতটি সযত্নে উদযাপন করিয়া গিয়াছেন, ক্ষণেকের জন্যও ইহাতে তাহার কোন শৈথিল্য দেখি নাই । বিরাট পুরুষ দ্বারকানাথের জীবনের একটি ঘটনার কথা আজি বিশেষ করিয়া মনে পড়িতেছে। আমি তখন চিংড়িপোতায় বাস করিতেছি । এক দিন সকালে তিনি কলিকাতায় আসিবার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছেন। এমন সময় হঠাৎ গ্রাম পথে একটি নিম্নশ্রেণীর অল্পবয়স্ক বিধবা তরুণীর কাতর ক্ৰন্দনে তিনি সচকিত হইয়া উঠিলেন। যুবতাটি আমাদের কাছ দিয়াই যাইতেছিল। দ্বারকনাথ তাহাকে থামাইয় তাহার বিপদের কথা জানিতে চাহিলেন । —গ্রামেরই একটি দুৰ্ব্বত্ত ধনী ব্যক্তির প্রলোভনে পড়িয়া সে لانگ&&