পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ব্ৰহ্মরস সম্ভোগের আনন্দে উদ্ভাসিত। উদার উন্মুক্ত আকশের সহিত মহৰ্ষির একাত্মকতায় স্থানটি যেন তখন অপূর্বব শ্ৰীমণ্ডিত হইয়া উঠিত । সে সময়কার মনের অবস্থা বর্ণনা করিবার মত ভাষা আমার নাই । মহৰ্ষির সাধুনা কেবল মাত্র অধ্যাত্মিপথ পরিক্রমণ করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, ইহা তাহার সমগ্র জীবনে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। জীবনের প্রতিটি ঘটনাকেই তিনি অধ্যাত্মি-অাদর্শের মানদণ্ডে বিচার করিতেন, তারপর তাহা গ্ৰহণ বা বর্জন করিতেন । কোন কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইবার পূর্বে সে সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে চিন্তা করিয়া। তবে তাহাকে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করিতে দেখা যাইত। অনুরোধে পড়িয়া 1া অতির্কিতভাবে কখনই তিনি কোন কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হইতেন না। অবশ্য ইহাতে কেহ যেন মনে না করেন যে, তিনি কৰ্ম্মবিমুখ ছিলেন। একবার ব্ৰাহ্মসমাজের তিনটি বিভিন্ন শাখার বাৎসরিক সম্মিলিত উৎসব তাহার জোড়াসাকোর গৃহে অনুষ্ঠিত হইবার কথা হয় । সমাজের পক্ষ হইতে আমি তাহার নিকট এই প্ৰস্তাব লইয়। যাই এবং তাঁহাকে উক্ত অনুষ্ঠানগুলিতে যোগদানের জন্য নিমন্ত্রণ জানাই । এই সম্মিলিত প্ৰাৰ্থনাস ৬ার প্রস্তাবে আনন্দিত হইয়া তিনি কহিলেন,-আচ্ছা, আমায় এ সম্পর্কে চিন্তা করবার সময় দাও । যে কোন উপস্থাপিত প্ৰস্তাব শুনিয়া তিনি প্ৰথমে এই কথাই বলিতেন এবং পরে সম্যক রূপে চিন্তা করিয়া নিৰ্দ্ধারিত 8ܛ