পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর আমি ও আমার বন্ধু আনন্দমোহন বসু একবাব শান্তিনিকেতনে মহৰ্ষির সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাই । সে সময়ে তাহার বসিবার ঘরে টেবিলের উপর একখানি ভূতত্ত্ববিদ্যার বই দেখিয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে উহার দিকে তাকাই ! মহৰ্ষি সহস্যে বলিলেন-সংবাদপত্রে এ বইটির প্রশংসা দেখে এসম্পর্কে জানিবার ইচ্ছে হয়, সেজন্যই এটা পড়তে আরম্ভ করেছি। মহৰ্ষির বহুমুখী জ্ঞান সম্পর্কে আনন্দমোহনের তেমন কিছু ধারণা ছিল না । তিনি সাধক ব্যক্তি এবং নির্জনে ধৰ্ম্মানুশীলন করেন, ইহাই শুধু তাহার জানা আছে। তাই কিছুটা বিস্মিত হইয়াই তিনি বলিলেন -এই নিৰ্জনবাসে থেকে আপনি ভূতত্ত্বदिछ} °छ6छन् ? মহর্ষি হাসিয়া বলিলেন-কেন, ভূতত্ত্ব বিদ্যা কি পড়বার মত কিছু নয় ? এ যে এক বিরাট বিজ্ঞান | পর্বতে অবস্থানকালে দীর্ঘকাল আমি এ বিষয় নিয়ে বহু অধ্যয়ন করেছি। প্ৰসঙ্গক্রমে মহাষি বলিলেন -মানুষের জীবনতরী দ্রুতবেগে জীবনের কূল থেকে মরণের পাবে অগ্রসর হচ্ছে । এ স্বল্পসময়ের মধ্যে স্রষ্টার জগতের বিচিত্র সৃষ্টি সম্পর্কে যতটুকু জান! যায় সেটুকু জেনে নেওয়াকে আমি বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি। তাই আমার সমগ্র জীবনে আমি প্ৰকৃতির বিভিন্ন জ্ঞাতব্য তথ্য জানতে কোন দিনই পরাজুখি হইনি। আনন্দমোহন বসু সেদিন মহৰ্ষির এই অসাধারণ জ্ঞানানুশীলনের পরিচয় পাইয়া বিস্মিত হইয়া গেলেন । èO'A