পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ন্টিয়েথ সেঞ্চুরী পত্রিকায় প্রকাশিত টেনিসনের কবিতাটি পড়েছ ? আমি লজ্জিত হইয়া অজ্ঞতা জানাইলে তিনি বলি লেনঅগ্রগামী জাতিগুলোর চিন্তাধারার সাথে সব সময় যোগরক্ষার চেষ্টা করবে। প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রাচীন ও বর্তমান দর্শন সম্পর্কে ও তাহার জ্ঞান ছিল সুগভীর। তাহার সমস্ত দর্শনের গ্রন্থগুলি তিনি বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারে দান করিয়া যান। কণ্ট, ফিকটে ডেকার্ট, ভিক্টর কাজন, হাৰ্বার্ট স্পেন্সার, জে, এস, মিল প্ৰভৃতি পাশচাত্য দার্শনিকদের গ্রন্থের পাতায় পাতায় তাহার লিখিত নোট দেখিয়া বুঝা যায়, প্রতিটি গ্ৰন্থই তিনি অত্যন্ত অভিনিবেশ সহকারে পাঠ না করিয়া ছাড়েন নাই । এই অগাধ পণ্ডিত্যের কথা চিন্তা করিলে বিস্ময় বোধ হয়। আবার একথা ও মনে হয় যে, তাহার মত উন্নতমনা ব্যক্তির পক্ষেই এজাতীয় জ্ঞানানুশীলন সম্ভব । সাধারণ মানুষের অধিকাংশ সময়ই স্বার্থসংঘাত, পক্ষ পাতিত্ব, দলীয় মনোবৃত্তি প্ৰভৃতি সঙ্কীর্ণতায় বায়িত হয়। সৃষ্টির অসীম জ্ঞানভাণ্ডারের প্রতি দৃষ্টি দিবার সময় তাহদের কোথায় ? কিন্তু মহৰ্ষির সাধনলব্ধ সত্যের আলোক সম্পাতে সাংসারিক জীবনের সমস্ত সঙ্কীর্ণতা বিরাটত্বে কাপায়িত হইয়া গিয়াছিল। সেই অধ্যাত্মশক্তি বলেই তিনি বৃহত্তর জীবনের বেদীতে সমাসীন হইয়া ঈপিসত পাথরেখাটি ধরিয়া অগ্রসর হইতে সমর্থ হন । ዓ »