পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়োল্লাসঃ । s> স এক এক সন্দ্রপঃ সত্যোহদ্বৈতঃ পরাৎপরঃ । স্বপ্রকাশঃ সদাপূর্ণ: সচ্চিদানন্দলক্ষণ ॥ ৩৪ নিৰ্ব্বি করে নিরাধারে নিৰ্ব্বিশেষে নিরাকুলঃ । গুণাতীত: সৰ্ব্বসাক্ষী সৰ্ব্বাত্মা সৰ্ব্বদৃথিভু: || ৩৫ গৃঢ় সৰ্ব্বেষু ভূতেষু সৰ্ব্বব্যাপী সনাতন । সৰ্ব্বেন্দিয় গুণাভাসঃ সৰ্ব্বেন্দ্রিয়বিবর্জিত: || ৩৬ লোকfতীতে লোকহেতু-রবাত্মনসগোচর । স বেত্তি বিশ্বং সৰ্ব্বজ্ঞ-স্তং ন জানাতি কশ্চম ॥ ৩৭ তদধীনং জগৎ সৰ্ব্বং ত্ৰৈলোক্যং সচরাচরম । তদালম্বনতস্তিষ্ঠে-দবিতর্কমিদং জগৎ ॥ ৩৮ তৎসত্যতামুপাশ্রিত্য সদ্বস্তুতি পৃথক পৃথক্ । তেনৈব হেতু ভূতেন বস্থং জাত মহেশ্বরি ॥ ৩৯ আশ্রয় করিয়া আছে । তিনি এক, অদ্বিতীয়, সত্য, সন্দ্ররূপ, পরাৎপর, স্বপ্রকাশ, সৰ্ব্বদা পূর্ণ এবং সচ্চিদানন্দস্বরূপ। তিনি নিৰ্ব্বিকার, নিরাধার, নিৰ্ব্বিশেষ, নিরাকুল ( আকুলতাশূষ্ঠ ) ; তিনি গুণাতীত, সৰ্ব্বপ্রকার শুভাশুভ কৰ্ম্মের সাক্ষাৎ দ্রষ্ট, সকলের আত্মা, সৰ্ব্বদশী, বিভু। তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বভূতে গৃঢ়ভাবে অবস্থিতি করিতেছেন, তিনি সনাতন । তিনি স্বয়ং সৰ্ব্বেন্দ্ৰিয়-রহিত, অথচ সকল ইন্দ্রিয় এবং ইন্দ্রিয়-বিষয় তাহ হইতে প্রকাশ পাইতেছে। তিনি লোকতীত, ত্রিভুবনের হেতু বা বীজস্বরূপ এবং বাক্য মনের অগোচর। তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ, তিনি বিশ্বের সকলই জানিতেছেন, তাহাকে কোন ব্যক্তি জানে না । ৩৩—৩৭ । এই জগৎ সমুদায় তদধীন, স্থাবর জঙ্গম সহিত এই ত্ৰৈলোক্য র্তাহাকেই অবলম্বন করিয়া আছে ।