পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টের পাই যুথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদেশে । মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালোবাসে । রক্ত ক্লো বস থেকে রৌদ্রে কের উড়ে যায় মাছি ; সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি। ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন—যেন কোন বিকীর্ণ জীবন অধিকার ক’রে আছে ইহাদের মন ; দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘন শিহরন মরণের সাথে লড়িয়াছে ; চাদ ডুবে গেলে পর প্রধান অাধারে তুমি অশ্বখের কাছে একগাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু এক-এক ; যে-জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের-মামুষের সাথে তার হয় নাকে দেখা এই জেনে । অশ্বখের শাখা করেনি কি প্রতিবাদ ? জোনাকির ভিড় এসে সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ বাকে করেনি কি মাখামাখি ? থুরথুরে অন্ধ প্যাচ এসে বলেনি কি : 'বুড়ি চাদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে ? مسلسم إلي 5ة خIة 5 ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার ” জানায়নি প্যাচ এসে এ-তুমুল গাঢ় সমাচর ? জীবনের এই স্বাদ—স্বপক যবের ভ্রাণ হেমন্তের বিকেলের— -- তোমার অসহ বোধ হলো ;— মর্গে কি হৃদয় জুড়োলে৷ মর্গে—গুমোটে থ্যাত ইদুরের মতে রক্তমাখা ঠোঁটে। 을,