পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্নি


আত্মপ্রত্যয়ের অগ্নি, হে সন্তান, প্রথম জলুক তব ঘরে । জানে। না কি রাত্রি এসে ঘিরিতেছে আরো-এক দীর্ঘতর বৃত্তে রোজ মানুষের জীবনকে । যে-সব সৌন্দর্য র'চে গিয়েছিলো একদিন মেধাবীরা আজ এই রজনীর অবরোধে মনে হয় তাহাদের জ্যোতি যেন বিস্ফোরক বাস্প হ’য়ে জ্বলে সহসা আকাশপথে দিকৃহস্তিদের মতে,—অদ্ভুত—অভীষ্ণ মদকলে ; কোনো আমলকী নাই আজ আর শিল্পীর নির্জন করতলে ।

এখানে দাড়ায়ে থেকে নুব্জ ছবি চোখে পড়ে পৃথিবীর : বিবর্ণ পাথর-গড় প্রান্তরের পীঠে এক ধর্মমন্দিরের ; আশি বছরের বুড়ে শীতের কুয়াশা ঠেলে সেই দিকে চলিয়াছে একা: হয়তে বাজাবে ঘণ্টা, হয়তো সে সারাৎসার বিধাতাকে কাছে পাবে : আমরা যেমন ক’রে পাই মৃত্তিকাকে, মৃত্যুকে ।

পীবর মাটির মতে নিষ্কাশিত হ’য়ে যেন পৃথিবীর জরায়ুর থেকে মাঠের কিনারে বসে শুষ্ক পাতা পোড়াতেছে কয়েকটি নিমূল সস্তান ; জর খাদ্য চায় ; তবুও অভূক্ত পেটে তরবার হাতে নেবে যোদ্ধার মতন নয় ; নকল সৈন্যের যত কলরবে পাচালির দেশে । কৌতুকে—গোলার সব মৃত—পরাহত—ধান থেকে মেড়ে যদি কেউ অন্যতম আলেয়ার রস এনে দিয়ে যেতে তাহাদের । কেউ দেবে নাকে আজ এই তুণ্ডসমীচীন পৃথিবীতে ।

মাথার উপর দিয়ে অনেক সন্ধ্যার কাক প্রথম ইশারা নিয়ে উড়ে যায় আবিভূত গম্বুজের দিকে । সেই পথে আমাদের যাত্রা নেই, হে সন্তান । هیچ وای ۹