পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবিংশ অধ্যায়। २● > হৃদয়েও আমার পুষ্পবাণ নিদারুণ নিমগ্ন হয়। ব্ৰহ্মাণ্ডের ক্ষোভজনক এই পুষ্প ধনু, সম্মোহন সন্দীপন প্রভৃতি পঞ্চ বাণ, বসন্ত মন্ত্রী, মলয় পবন, পূর্ণ শশধর এবং প্রাণপ্রিয়া রতি এই কএকটা যদ্যপি সমগ্ৰ ৰূপে আমার সহায় থাকে, তবে অামি কাহার কি না করিতে পারি ? অধিক কি বলিব, মহাদেবও যদি যোগ চিন্তাপরায়ণ হইয়া জিতেন্দ্রিয় ভাব অবলম্বিত হন, তবে তাহাকেও আমি ক্ষণ দ্বিমধ্যে বিমুগ্ধ করিতে সমর্থ হই । কামদেব এই কথা বলিলে, ইন্দ্র স্বকীয় কণ্ঠের বৈজয়ন্তী মালা মন্মথের গলদেশে সমপর্ণ করিলেন, এবং বীরভাবের উদ্দীপক দুইবার প্রেমচপেটাঘাত করত বলিলেন, রতিবলভ ! তা ন হইলেই বা কেন সমুদায় দেবগণের মধ্যে তোমাকেই স্মরণ করিলাম ? প্রাজ্ঞজনের নিকটে অভিলষিত কার্য্যের প্রকাশ করিতে হয় না ; আমরা যে কার্য্যের নিমিত্ত তোমাকে স্মরণ করিয়াছি, তাহা তুমি স্বয়ংই প্রকাশ করিয়াছ ; তথাপি প্রকাশ করিয়া বলিতেছি, শ্রবণ কর। মহাবলপরাক্রান্ত তারকাসুর ত্রিভুবনকে, বিশেষতঃ দেবগণকে যেৰূপ উৎপীড়ন করিতেছে, তাহা ত সকলই জ্ঞাত আছ, অধিক আর কি বলিব। সেই দেব কণ্টক ছুরাত্মার সমুচিত দণ্ডবিধান করিতে কেবল মহেশের বীর্য্যজাত সন্তানই সমর্থ হইবেন, অন্ত কাহারও সাধ্য নাই ; কিন্তু মহাদেব হিমালয়পৰ্ব্বতের গঙ্গাবতরণ শৃঙ্গে তপস্যা করিতেছেন. তিনি যোগচিন্তা দ্বারা জিতেন্দ্রিয়ভাবাবলম্বী হইয়া সংসারে এতই বিমুখ হইয়াছেন যে, আদ্যাশক্তি সনাতনী, যিনি