পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ অধ্যায় । * > 3 করিব ! দরিদ্র কর্তৃক দৈবযোগে লব্ধ মহারস্তু যদি অপহৃত হইয়া পুনৰ্ব্বার প্রাপ্ত হয়, তবে সে অাদরও তোমার সে অাদরের শতাংশ তুল্য হইবে না। আমি সামান্য অঘাতে কখনও কিঞ্চিৎ স্নানভাব প্রকাশ করিলেও তুমি তুরস্তাঘাতে প্রব্যথিতের ন্যায় সকাতর হইয়া আমায় সান্থনা করিতে । আমি তোমার সেই আদরিণী, এক্ষণে অনাথিনী হইয়া রোদন করিতে করিতে ম্রিয়মাণ দশাকে প্রাপ্ত হইলাম ! তথাপি কি একবার প্রিয়সম্ভাষে আমায় অশ্বিাস প্রদান করিবেন না ! এই প্রকার বহুবিধ বিলাপ করিয়৷ রতি প্রাণ পরিত্যাগে উদ্যত হইলে, দেবতাগণ র্তাহার নিকটে আসিয়। বলিলেন, রতি ! তুমি পতিশোকে যেৰূপ শোকাকুলা হইয়াছ, একান্তহিতৈষী সেই কন্দপের শোকে আমরাও তদ্রুপ শোকসন্তপ্ত হইয়াছি ! অতএব আমরা বিশেষ চেষ্টা করিয়া কন্দপকে পুনৰ্ব্বার জীবিত করিব ; ইহাতে অণুমাত্ৰও সংশয় নাই। রতিকে এবম্বিধ আশ্বাস প্রদান করিয়া দেবতাগণ স্ব স্ব স্থানে গমন করিলেন । পাৰ্ব্বতীর সহিত শিবের কথা । রতির বিলাপ শ্রবণে মহাদেবের কোপনিৰ্বত্তি হইলে, রুচিরাননা পাৰ্ব্বতী নিৰ্দ্ধন দর্শন করিয়া মহাদেবকে বলিতে লাগিলেন, হে শম্ভে ! আমি আদ্য প্রকৃতি, তুমি আমাকেই পত্নীভাবে লাভ করিবার জন্য এই তীব্রতর তপস্যা করিতেছ ; তবে কি হেতু কন্দৰ্পক বিনাশ করিলে ! কাম বিনষ্ট হইলে পত্নীতে প্রয়োজন কি ? আর যোগীজনের