পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९४२ মহাভাগবত । পারিবেন, এই ভাবিয়া হর্ষোৎফুল্ল মনে পুরঃপ্রবেশ করিয়া দেবতা ও পিতৃগণের বিধিবৎ বন্দনা করিলেন । এ দিকে মধ্যাহ্নকালের উত্তাপের সহিত ক্রমশঃ লোক সমাগম কোলাহল প্রভাবে গিরি নগরী মুখরীকৃত হইয়া উঠিল । তখন কেবল “দীয়তাং ভূজ্যতাং” ইত্যাদি শব্দই চতুর্দিক হইতে শ্রবণ গোচর হইতে লাগিল । বায়ু মন্দ মন্দ প্রবাহিত হওয়াতে দিক সকল পাংশু শুষ্ঠ ও সুপ্ৰশন্ন হইল । যাবতীয় জীব জন্তুগণ প্রফুল্লমন হইয়া অভুতপূৰ্ব্ব সুখানুভব করিতে লাগিল । রাজা, দৈনন্দিন কার্য্যাবসানে গ্রাম্য ও কুলদেবতা এবং মাতৃগণের পূজা সমাপন করতঃ স্বকীয সভাভবনে আগমন করিলেন ; এবং সেই সুসজ্জীভূত সভাগৃহ অতি পরিপাটী দেখিয়া পরমানন্দে অবিচলিত ভক্তিষোগসহকারে শিবগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । ক্রমে মায়ংকাল সমুপস্থিত হইলে ত্ৰিদশাধিপতি ইন্দ্র, দেববাঞ্ছিত সোভনীয় বেশে সজ্জীকৃত হইয়া বহিরঙ্গনে উপস্থিত হইলেন, এবং বরযাত্রীদিগকে একত্র সম্মিলিত হইবার নিমিত্ত পূৰ্ব্বনিরুপিতানুসারে দুস্কৃভিন্ধনি করিতে আজ্ঞা প্রচার করিলেন । তখন সেই নিনাদ শ্রবণ করিয়া অগ্নি, বায়ু, বরুণ প্রভৃতি দিকৃপালগণ স্বগণে পরিবৃত হইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন, রুদ্রগণ ও অমরবৃন্দ এবং যক্ষ, রক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব ও কিন্নর প্রভৃতি দেবানুচরের শিববিবাহজনিত উল্লাসে উন্মত্তপ্রায় হইয়া কেহ কাহার প্রতি সঙ্কোচ না করিয়াই আত্মীয়গণে পরিবৃত হওত স্ব স্ব বাহনে তথায় প্রফুল্লমনে উপস্থিত হইলেন । বীণ। সপ্ত