পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। పిసి -লন; কিন্তু পূর্ণ প্রকৃতির ইচ্ছাক্রমে সে পাশ্বেও এক মুখ উৎপন্ন হইল ; আতিশয় ভয়ে পুনৰ্ব্বার বিমুখ হইলে, সে দিকেও আর একটি মুখ উৎপন্ন হইল। এই প্রকারে ব্রহ্মা চতুর্মুখ হইলেন ; এবং বারম্বার ভীষণ মুৰ্ত্তি দর্শনে অত্যন্ত ভীত হইয়া পলায়ন করিতে লাগিলেন। এইৰূপে ব্ৰহ্মার তপোভঙ্গ করিয়া পূর্ণ প্রকৃতি বিষ্ণুর নিকট উপস্থিত হইলে, বিষ্ণু সেই ভয়ঙ্করীকে দর্শন করিয়া · বার বার বিমুখ হওয়াতে সহস্ৰানন হইলেন ; এবং ভয়ে সৰ্ব্বদিকেই শত শত ভয়ানক ৰূপ দর্শন করিয়া নিৰ্মীলিতনয়ন হইয়৷ জলমধ্যে মগ্ন হইলেন। ঐৰূপে দুই জনের তপোভঙ্গ করিয়া, সেই ভীষণৰূপিণী মহেশ্বরের সন্নিধানে গমন করিলেন ; কিন্তু ভয়ানক ৰূপ দর্শনে তাহার ধ্যান ভঙ্গ হইল না ; প্রত্যুত জ্ঞানদৃষ্টিতে বিলক্ষণ জানিতে পারিলেন যে, ইনিই আমাদের প্রসবকারিণী মূল প্রকৃতি ; আমাদিগকে পরীক্ষা করিতে আসিয়াছেন । এই বিবেচনায় অধিকতর ধ্যানাবলম্বী হইলেন । তদর্শনে সন্তুষ্ট হইয়। পরম প্রকৃতি সংকল্প করিলেন য়ে, দুর্গ এবং গঙ্গ, এই দুই ৰূপ ধারণ করিয়া পূর্ণ ৰূপেই মহাদেবের পত্নী হইব; আর, অংশ দ্বারা সাবিত্ৰী হইয়া ব্রহ্মার, এবং লক্ষী ও সরস্বতী হইয়া বিষ্ণুর পত্নী হইব । এই বিবেচনা করিয়া প্রকৃতি অন্তহিত হই লেন । অনন্তর ব্রহ্মা পূৰ্ব্বের অজ্ঞা স্মরণ করিয়া পৃথিবী প্রভৃতি মহাভূতগণ, এবং মানসসন্তান দশ জন স্বষ্টি করি