মহাভাগবত । هواپ গ্রহণ করিয়ছিলে, সেইপ্রকারে আমাদের গৃহে জন্মগ্রহণ কর, এই আমাদের আন্তরিক কামনা । আমাদের অন্য অভিলাষ নাই । তঁহাদের অভিপ্রায় অবগত হইয়া অন্তর্যামিনী অম্বিক কহিতে লাগিলেন, দ্বাপরযুগন্তে তোমাদের মনোরথপুরণের কোন উপায় দেখিতেছি না। যে হেতুক, শস্তুর বাসনাবাধ্য হইয়া আমি প্রতিশ্রুত হইয়াছি যে, স্ত্ৰীৰূপে র্তাহাকে সহচরী করিয়া পুরুষৰূপে আমি অবতীর্ণ হইয়। র্তাহার প্রিয় সহচর হইব । আমার গলদেশে যে মুণ্ডমালা শ্রেণীবদ্ধ দেখিতেছ, ইহাই অবতার কালে বনমালা হইবেক । আমার ভীষণাকৃতি সে সময়ে সৌম্যৰূপে প্রতিফলিত হইবে । তখন আমার ত্রিনয়ন ও চতুভুজ বিলুপ্ত হইয়া দ্বিনয়ন ও দ্বিভূজ ধারণ হইবেক । কালিকালাঞ্ছন লুপ্ত হইয়া বিষ্ণুচিহ্নে মদীয় শরীর চিহ্নিত ও সুশোভিত হইবেক । তখন আমি, নবীন জলদের ন্যায় দিব্য কান্তি ধারণ করিব । এই প্রকারে তাহাদিগকে প্রবোধিত করিয়া ভগবতী তিরোহিত হইলেন ; এবং উহারা দেবীবাক্যে বিশ্বস্ত ও তপনিরত হইয়া প্রহৃষ্ট মনে গৃহে প্রতিগমন করিলেন। সেই প্রজাপতি কশ্যপ, পৃথিবীতে বসুদেব নামে এবং তদীয় প্রিয় যুবতী অদিতি, দ্বিধা মূৰ্ত্তিতে দেবকী ও রোহিণী নামে সংসারে সমাখ্যাত হইলেন । সেই দেবকী উগ্রসেনের নন্দিনী এবং চুরাচার কংশের ভগিনী। অনন্তর বসুদেব, শরচ্চন্দ্রের ন্যায় দিব্যকান্তি দেবকী ও রোহিণীর যথাবিধি পাণিগ্রহণ করেন। ভগিনীর প্রতি
