পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চ শস্তমোধ্যায়। 90% অন্তরিক প্রীতি ও স্নেহ করেন, তৎপ্রতি আমার আর কোন সন্দেহই নাই, ভঁ{হার ঐ ৰূপ প্রণয়ভাব যে কেবল বাহ্যিক ও মৌখিক, তাহা নহে। কারণ, আমি, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত হইয়াছি । তিনি যে প্রাণপণ চেষ্টায় আমার কলঙ্ক মোচন করত সৰ্ব্বদা আমার সঙ্গলাভে নিমিত্ত এতদূর কষ্ট স্বীকার করিয়াছিলেন, ইহাই তাহার এক প্রধান পরিচয় স্থল। এইৰূপ বলিতে বলতে উভয়ে যথ নির্দিষ্ট সেই তমালকুঞ্জে উপস্থিত হইলেন, এবং দেখিলেন, চিত্রা, চম্পকলতা ও ললিতাপ্রভৃতি সখীগণ পুষ্প সকল অবচয়ন করিতেছে। তদন্টে শ্ৰীমতী হৃষ্টচিত্ত হইয় তাহাদিগের সহিত কুসুমরাশি চয়ন করিতে করিতে কহিলেন সখি ! গত যামিনীর কুসুমকাণ্ড মনে করিয়া দেখ, সকলই অতি উৎকৃষ্ট ও পরিপাট হইয় ছিল, কিন্তু পুষ্পমালা সেন্ধপ মনোমত হয় নাই। এই হেতু অদ্য আমি স্বয়ং সেই শ্যামসুন্দরের বণ্ঠোচিত এক মালা গ্রন্থন করিব। অতএব তোমরা কুঞ্জকুটারের ফুলশয্যাদি প্রস্তুত করিতে থাক, আমি এই অবকাশে ঐ উপকুঞ্জের নির্জন প্রদেশে গমন করিয়া একমনে মালা গাঁথিতে নিযুক্ত হই ; এই বলিয়া তথা হইতে প্রস্থান করিলেন। অমনি সখিগণ, তথায় পরিপুর্ণ পুষ্পপাত্র লইয়া রাখিয়া আমিলে, রাধিক স্বয়ং একমনে কৃষ্ণগুণ গান করিতে করিতে মালা গাথিতে আরম্ভ করিলেন। ক্রমে সন্ধ্যাকল সমুপস্থিত হইল, পক্ষী সকল, স্ব স্ব তাবাসে আসিয়া উপস্থিত হইল, দিবাপেক্ষা সংসার