পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট পঞ্চাশস্তমোধ্যায়। & e > কস্তার মৃত্যগীত শিক্ষকৰূপে মৃত্যশালাতে নিযুক্ত করিলেন। সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী যে দ্রৌপদী, তিনিও মৎস্ত রাজপত্নী সুদেষ্টাকে প্রাপ্ত হইয়া সৈরিন্ধী নাম ধারণ পূর্বক অন্তঃপুরমধ্যে বাস করিতে লাগিলেন। মাদ্রীতনয়দ্বয়ও অশ্বগবাদির চিকিৎসকভাবে মৎস্যরাজ কর্তৃক সন্মানিত হইয়া অশ্বশালায় এবং গো শালায় নিযুক্ত হইলেন। সেই ত্রয়োদশবষে ভগবতী দেবীর প্রসাদে ঐ জগদ্বিখ্যাত সমুদয় রাজসন্মানিত পাণ্ডবগণকে সে সময়ে কেহই চিনিতে পারিল না । দেবামুগ্রহের কি আশ্চর্য্য মহিমা ! পাণ্ডবগণের অজ্ঞাতবাস ভঙ্গ করিবার নিমিত্ত তুষ্টমতি দুৰ্য্যোধন গুপ্তচর সকল প্রেরণ করিতে লাগিলেন। তাহাতে তাহার। জল, স্থল, গিরি, গুহা প্রভৃতি কোন স্থানেই অন্বেষণের ক্রট করিল না। কিন্তু কোথাও কোন সন্ধান প্রাপ্ত হইল না। হে জৈমিনে ! সেই দুঃসংকট সময়ে ভগবতীর অনুগ্রহে পাণ্ডবগণ কোন ক্লেশ ভাজন হইলেন না । সকলেই রাজপূজিত হইয়া একস্থানে স্থস্থিরভাবে কালযাপন করিতে লাগিলেন । এইৰূপে একাদশ মাস উপস্থিত হইলে, একদা রাজমহিষী সুদেষ্টার গৃহে তাহার ভ্রাতা মহাবল কীচক সৈরিন্ধীকে দর্শন করিল। সেই কীচকই বৃদ্ধ মৎস্তরাজের রাজ্যরক্ষা করেন, সুতরাং তাহার অনভিমতে মৎস্তরাজ কোন কার্য্যই করিতে পারিতেন না। এক্ষণে সেই কীচক দিব্যলক্ষণযুক্ত চাৰ্ব্বাঙ্গী সৈরিন্ধীকে দর্শন করিয়া ভগিনীৰুে জিজ্ঞাসা করিল, ভগিনি । এই সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দরী নারী কে? ইনি কি ইন্দ্রের শচী, অথবা বিষ্ণুর লক্ষী ? আমি এঙালী