পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৬ মহাভাগবত । ধ্যানস্থিত আছেন । এই প্রকার গুরুকে দর্শন করিয়া সুরপতি ষেন সাক্ষাৎ মহাদেবকেই দর্শন করিলেন। তদনন্তর প্রদক্ষিণ করিয়৷ দণ্ডের স্যায় পতিত হইয়া প্রণাম করিলেন । গাত্রোথান করিয়া সমাধিভঙ্গের সময় প্রতীক্ষা করিতে থাকিলেন। কিছুকাল পরে সমাধি ভঙ্গ হইলে পর গৌতম দেখিলেন যে, দেবরাজ পাশ্বে দণ্ডায়মান আছেন । তখন গৌতম জিজ্ঞাসা করিলেন, বৎস! কুশল বল। ইন্দ্র বলিলেন প্রভো! আপনার দর্শনেই আমার সমস্ত মঙ্গল । আপনি যাহার গুরু তাহার কোন স্থানেই অমঙ্গল হয় না।কিন্তু একটি পাপ করিয়াছি। কোন প্রকারে সে পাপ বিনষ্ট হয় না। অতএব নিস্তার করুন। আপনি গুরু আপনাকে প্রাপ্ত হইলাম। বৃত্র সুরবধার্থে দধীচি মুনির অস্থিসংগ্রাহিক চেষ্টাতেই আমার পক্ষে ব্ৰহ্মহত্য ঘটিয়াছে। তাহার শান্তিম নিমিত্ত মহাযজ্ঞ অশ্বমেধ করি য়াছি, তথাপি ব্ৰহ্মহত্য নিবৃত্তি হয় না ; সেই হেতুক আমি অত্যন্ত দীনমনা হইয়া আপনকার চরণোপান্তে নিপতিত হইলাম । হে গুরো ! হে নিস্তারকারক ! উপায় বলুন, যাহাতে ব্ৰহ্মহত্যাজনিত পাপের বিনাশ হয় ; পরম ধৰ্ম্ম বিৎ আপনি যাহার ত্রাণকৰ্ত্ত গুরু তাহার সম্বন্ধে পাপ স্থিরতর হইবে, এ আমার সর্বাপেক্ষায় দুঃখজনক। গৌতম বলিতে লাগিলেন, বৎস! তুমি খেদ পরিত্যাগ কর। তোমার পাপ চিরস্থায়ী কদাচই হইৱে না। পাপ শান্তির উপায় ‘বলিতেছি শ্রবণ কর। সেই বিষয়ে যত্নবান হও । বৎস! যে কোন ব্রাহ্মণ নহেইনি মহামতি দধীচি মুনি ইনি জীবন্মুক্ত