একষষ্টিতমোধ্যায়। NRసి অনুসন্ধানে সৰ্ব্বথাই প্রবৃত্ত হইলাম তোমার কার্য্যtমুরোধে চেষ্টা করিয়া আমি যদি উহাকে দেখিতে পাই, তাহা হইলে ত আমি ধন্য, কৃতার্থম্মন্য হইব, অতএব ইহার অধিক কার্য্য আর কি আছে । ’ বেদব্যাস বলিতেছেন, বিধাতা ইন্দ্রকে এই প্রকার আশ্বাস করিয়া দিব্য রথে আরোহণ করত বৈকুণ্ঠ ধামে চলিলেন। ইন্দ্রও পুষ্পক রথে আরোহণ করিয়া ব্ৰহ্মার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। বৈকুণ্ঠ ধাগে উপস্থিত হইয়া বিষ্ণুর অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইবার সময় ইন্দ্রকে বলিলেন, বৎস ! তুমি এই স্থানেই সম্প্রতি অবস্থান কর ; আমিই অন্তঃপুরমধ্যে প্রবেশ করি ; পশ্চাৎ বিষ্ণুর অনুমত হইয় গমনং করিবে। ব্রহ্মার বাক্য শুনিয়া ইন্দ্র সেই প্রকারই করিলেন। ব্ৰহ্মা গমন করিলেন, যে স্থানে ভগবান কোস্তুভ মণিতে বিভূষিত হইয়া লক্ষীসরস্বতীযুক্ত হইয়া কাল যাপন করি - তেছেন । যিনি নবীনজলদশ্ব মবর্ণ, শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী, ব্ৰহ্ম মহার নিকটে উপস্থিত হইলে ব্রহ্মাকে দেখিয়া বিষ্ণু জিজ্ঞাসা করিলেন, বিভো ! স্বাগত ? ব্রহ্মা বলিলেন,জগন্নাথ ! আপনার প্রসাদে আমার স্বাগত । দেবরাজ ইন্দ্র আপনকার দর্শনাভিলাষে পুরদ্বারে দণ্ডায়মান থাকিয়া আজ্ঞা প্রতীক্ষা করিতেছেন। সেই কথা শুনিয়া বিষ্ণু তৎক্ষণমাত্রেই গরুড়কে আজ্ঞা করিলেন সুরেশ্বরকে সত্বরেই পুরপ্রবেশ করাও। গরুড় প্রভুর অজ্ঞামত্রে দ্বারদেশে উপস্থিত স্বরপতিকে সমাদরবাক্যে পুরপ্রবেশ করাইলেন। ইন্দ্র বিষ্ণুর নিকুটে উপস্থিত হইয়া ভূমিতলে দণ্ডের ষ্ঠায় পতিত হইয়া জগৎ
