পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'\\ని శ్రీ মহাভাগবত্ত । বিস্ময়ান্বিত হইয়। মনে মনে আত্মপুরীর নিন্দ করিতে থাকিলেন। তৎপরে অন্তঃপুরের দ্বারদেশে উপস্থিত হইয়৷ দেখিলেন, এক জন মহাকায় গণনায়ক। তিনি চতুর্ভুজ, মহাবাহু, গজানন। তঁহাকে দর্শন করিয়া পরমপ্রীতিযুক্ত হইয়া ভগবান রুদ্র বলিলেন, বৎস! তুমি শীঘ্রই পুরপ্রবেশ করিয়া মহাকালীকে আমার এই বাক্যটি বলিবে, যে বিষ্ণু, ব্ৰহ্মা এবং ইন্দ্র তোমার দর্শন ভিলাষে রুদ্রকে সহায় প্রাপ্ত হইয়া আসিয়াছেন, তঁহাদের সহিত রুদ্রও পুরবহির্দেশে অবস্থিতি করিতেছেন, অতএব পুর প্রবেশ করিতে শম্ভ,র প্রতি আজ্ঞা করুন। এই কথা শুনিয়া সেই গণনায়ক ত্বরাস্থিত হইয়া ঈশ্বরীর অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। ঐ শিবভাষিত নিবেদন করিবার নিমিত্ত অগ্ৰে উপস্থিত হইয়া প্রণাম পূর্বক কৃতাঞ্জলি পুটে শিবোক্তি সকল অবিকল নিবেদন করিলেন । জগন্মাতা সেই কথা শুনিয়া গণনায়ককে বলিলেন শীঘ্রই স্বয়ম্বুকে পুর প্রবেশ করাও । গণনায়ক মহেশ্বরীর আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়। ৰূদ্রকে পুরঃসর করিয়া বিষ্ণুকে আর প্রজাপতিকে পুরঃপ্রবেশ করাইলেন ; ইন্দ্র বহির্দেশে দুঃখিত মনে রহিলেন । মহেশাদি দেবত্রয় সেই দেবীর মন্দির প্রাপ্ত হইয়। সেই পরম দেবীকে দেখিলেন,—রত্নসিংহাসনের উপরিভাগে শবাসনা ; মুক্তকেশী ; উজ্জল বিশাল নয়ন ত্রয় ; চতুখুঁজ ; মহাঘোরা ; কোটিসুর্য্যসমপ্রভা ; উত্তম রত্নসমূহে জাজ্বল্যমান মুকুট মস্তকে অমূল্য রত্ন মালাতে বিভূষিতা; নিৰীভূজলদকান্তি ; দিগম্বরী ; ভীষণদর্শন :