পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\)\)8 মহাভাগবত । নিনাদ করত গঙ্গাকে পৃষ্ঠদেশে লইয়। দক্ষিণাভিমুখে চলি লেন। সুমেরু পৰ্ব্বতের দক্ষিণ শৃঙ্গে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, সেই শৃঙ্গ অত্যন্ত তুঙ্গ এবং স্কুল ; তদর্শনে ভগীরথ মহাকাতর হইয়া গঙ্গাকে বলিলেন, জননি! এই মহাশৃঙ্গকে কি প্রকারে বিভিন্ন করিয়া আমি আপনাকে মহীতলে লইয়া যাই ; হে সুরোত্তমে ! ইহার উপদেশ আমাকে প্রদান করুন ; তখন গঙ্গা বলিলেন বৎস! কিঞ্চিৎকাল আমি এই স্থানেই অবস্থিতি করি, তুমি এই শৃঙ্গ উল্লঙ্ঘন করিয়া দক্ষিণ পাশ্বে উপস্থিত হও, তথা হইতে দীর্ঘ গভীর শব্দে শঙ্খধনি করিবে, তৎশ্রবণে আমি ক্ষণমাত্রেই এই পৰ্ব্বতশৃঙ্গ ভেদ করিয়া তোমার রথপথের অনুসন্ধান করিয়া লইব । ব্যাস বলিতেছেন, গঙ্গার নিকটে এই প্রকার উপদিষ্ট হইয়া মহারথসঞ্চালনে অত্যপ কালের মধ্যেই গিরিশৃঙ্গের দক্ষিণ পাশ্বে উপস্থিত হইয়া শশ্বনিনাদ করিতে লাগিলেন । ভগীরথ প্রাণপনে শশ্বনিনাদ করাতে সেই শব্দ একেবারে সুতুমুল হইয়া উঠিল, যেন নভোমণ্ডল, পরিব্যাপ্ত হইয়া প্রতিদ্বনি করিতে লাগিল ; ক্ষীরকণ্ঠ বৎসের চীৎকারে গোমহিষীপ্রভৃতি যেমন দুগ্ধদানের নিমিত্ত বেগে ধাবমান হয় তেমনই ভগীরথের শঙ্খশব্দে গঙ্গও পরমবেগিনী হইয়া তৎক্ষণমাত্রে সেই স্কুলতর গিরিশৃঙ্গ বিভেদ করিয়া ভগীরথনিকটে সমুপস্থিত হইলেন । ইতি মহাভাগবতে মহাপুরাণে মটমষ্টিত মোছধ্যায় ।