পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃo মহাভাগৱত । তুমিও প্রাণের সমান ভর্তা, তুমি নিতান্ত ভীত হইয়া ধাবমান হওয়াতে তোমাকে স্বস্থির করিবার জন্তেই ঐৰূপ দশ প্রকার মুৰ্ত্তিতে দশদিকে অবস্থান করিয়াছিলাম। সেই দেবীর এই প্রকার করুণাপুৰ্ণবাক্যে মহাদেবের ভয় মোহ দূরীকৃত হইলে,মহেশ্বর মনে মনে বিবেচনা করিলেন, হয়, আমি কি কৃতত্বের স্তায় অকার্য্য করিয়াছি ! যাহার প্রসন্নতাতেই আমি দেবাদিদেব মহাদেব হইয়াছি, সেই পরমারাধ্য পরমেশ্বরীর প্রতি তিরস্কার এবং কটু বাক্য আমার মুখ হইতে নিঃস্থত হইল, ইহার অধিক পরিতাপের বিষয় আর কি ? এই বিবেচনায় আপনার অপরাধভঞ্জনের নিমিত্তে ঐ দেবীকে অনেক স্তবস্তুতি করিয়া বলিলেন, হে পরমেশ্বfর ! আঁমি অজ্ঞান বশত আপনার প্রতি যে অপ্রিয় বাক্য প্রয়োগ করিয়াছি, ইহাতে তামি নিতান্তই সাপরাধী হইয়াছি, কিন্তু আপনিই আমাদিগের উৎপত্তি করিয়াছেন, এক্ষণে সহস্ৰ সহস্র অপরাধ করিলেও অার নষ্ট করা বিধেয় নয় ; যেপ্রকার আরামনিৰ্ম্মাণকৰ্ত্ত নিজহস্তপ্রতিপালিত বৃক্ষমধ্যে কোন পাদপটি বিষদৃষিত ফল পুষ্পাদির প্রসবকারী হইলেও তাহাকে ত্বরায় বিনষ্ট করিতে ইচ্ছা করেন না, সেই প্রকার আমাকে এক্ষণে রক্ষা করাই আপনার কৰ্ত্তব্য ; অতএব, হে বিশ্বজননি ! আপনি এই দীন দাসের প্রতি ক্ষমা করুন । মহেশ্বর এই কথা বলিলে, সতী কোন উত্তর না করিয়া কেবল মন্দ মন্দ হাস্য করিতে লাগিলেন, তাহতে মহাদেব নিভাত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে পরমেশ্বরি ! মহাভয়নিক তোমার যে মুৰ্বিসমুহ দর্শন করিলাম, ইহাদিগের নাম কি