পাতা:মহাভারতীয় স্বপ্নপর্ব্ব - কাশীরাম দাস.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বপ্নপর্ব্ব।
২১

কতেক কহিব রাজা পাণ্ডবের কথা। পাণ্ডব সহায় কৃষ্ণ কাটিবে তোর মাথা॥ সপনে দেখিছি রাজা নব দণ্ড ছাতা। ধর্ম্ম রাজা হইয়ে রাজ্যের বিধাতা॥ একেত পঞ্চাশ গুন রাজ্যের পালক॥ অন্নদাতা রাজার মিলেছে প্রজা লোক॥ সপ্নের কথা মিথ্যা নহে দুর্য্যোধন। পাণ্ডবের রাজ্য দিয়ে চিন্তে নারায়ণ॥ মোর কথা শুনি কর পাণ্ডবের প্রীতি। না শুনিলে তবে তুমি যাবে অধোগতি॥ নিদ্রাতে সপনে রাজা দেখিয়াছি যাহা॥ উপাড়িছে ভীমসেন দুশ্বাসনের বাহা॥ দুশ্বাসনের রক্তে স্নান করেছে সুন্দরী। বামগত বুলয়ে রাজা যমের উগড়ি॥ গৃধিনী শৃগাল সকল করে টানাটানি। কুরুক্ষেত্রে বহিয়াছে সাত তাল শুনি॥ আর কিছু সপ্ন কহিল গান্ধারীকে। আই বুড়া মেয়ে যদি বাপ ঘরে থাকে॥ জানিবে তাহার ঘরে পাপ পরশিল। অধগতি সপ্তম পুরুষ যে মজিল॥ সেইত গ্রামের লোক মহাপাপী হয় তার পাপে রাজা মৃত্যু বিভা নাই দেয়॥ রক্তে নদী সপনেতে দেখি আছি নৃপ॥ রজসলা স্ত্রী মুখ দেখিলে মহাপাপ॥ রজসলা স্ত্রী সঙ্গে পুরুস কথা কয়। পাপেতে পুর্ণিত করি নরকেতে যায় তাহার হাতের অন্ন বিষ্ঠা সুরাপান॥ পুষ্প গন্ধে দুর্য্যোধন তোমার যেমন। সপ্তদিন গেলে যদি