পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বাদশ অধ্যায়— পৌলোমপর্ব্ব।

রুরু কহিলেন, হে দ্বিজোত্তম! কি নিমিত্ত রাজা জনমেজয় সর্পহিংসা করিয়াছিলেন, কি নিমিত্তই বা দ্বিজশ্রেষ্ঠ ধীমান্ আস্তীক তাহাদিগের পরিত্রাণ করিলেন, আমি ভাহা সবিস্তর শুনিতে বাসনা করি। আপনি ব্রাহ্মণদিগের প্রমুখাৎ মহাফল প্রদ আস্তীকচরিত আদ্যোপান্ত শ্রবণ করিবেন, আমার যাইবার ত্বরা আছে, এই বলিয়া সেই ঋষি যোগবলে অন্তর্হিত হইলেন। রুরু আশ্চর্য্য বোধ করিয়া অন্তর্হিত ঋষির অন্বেষণে সমস্ত বন ভ্রমণ করিলেন। পরিশেষে একান্ত ক্লান্ত হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন এবং সেই ঋষির বাক্য বারংবার চিন্তা করিতে করিতে কিয়ৎ ক্ষণ অচেতন প্রায় হইয়া রহিলেন। অনন্তর সচেতন হইয়া আশ্রমে প্রত্যাগমন পূর্বক নিজজনকসন্নিধানে সমুদায় নিবেদন করিলে, তিনি তাঁহাকে সম্পূর্ণ আস্তীকোপাখ্যান শ্রবণ করাইলেন।