পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
মহাভারত।

তোমরা যাহা বোধ করিতেছ, বাস্তবিক তাহা নহে; আমার তুল্য তেজস্বী বলবান্ বিনতানন্দন গরুড় জন্মগ্রহণ করিয়া কলেবর বৃদ্ধি করিতেছেন; সেই তেজোরাশি দর্শনে তোমরা মোহাবিষ্ট হইয়ছি। এই সর্পকুলসংহারকারী মহাবল কশপসূনু সদা তোমাদিগের হিতৈষী ও দৈত্য রাক্ষস প্রভৃতির অহিতকারী হইবেন। অতএব তোমাদের ভয়ের বিষয় নাই; তথাপি আইস, সকলে মিলিয়া গরুড়ের নিকটে যাই।

 এইরূপ নিশ্চয় করিয়া দেবাগণ, ঋষিগণ সমভিব্যাহারে গরুড়সমীপে গমন পূর্বক, তদীয় স্তুতিবাদ আরম্ভ করিলেন, হে মহাভাগ পতগেশ্বর! তুমি ঋষি, তুমি দেব, তুমি প্রভু, তুমি সূর্য্য, তুমি প্রজাপতি, তুমি ইন্দ্র, তুমি হয় গ্রীব, তুমি শর, তুমি জগৎপতি, তুমি সুখ, তুমি পদ্মযোনি, তুমি অগ্নি, তুমি পবন, তুমি ধা ও বিধাতা, তুমি সুরশ্রেষ্ঠ বিষ্ণু, তুমি মহান, তুমি সকাল সৰ্বব্যাপী, তুমি অমৃত, তুমি মহৎ যশঃ, তুমি প্রভা, তুমি অভিপ্রেত, তুমি আমাদিগের পরম রক্ষাস্থান, তুমি মহাবল, তুমি সাধু, তুমি মহাত্মা, তুমি সমৃদ্ধিশালী, তুমি দুঃসহ, হে মহকীর্ষে গরুড়! ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সকল গোমা হইতে নিঃসৃত হইয়াছে, তুমি সর্বোত্তম, তুমি চরাচরমূর্ত্তি, তুমি স্বীয় কিরণমণ্ডল দ্বারা দিবাকরের ন্যায় অবভাসমান হইতেছ, তুমি স্বীয় তেজোপাশি দ্বারা সূর্যের প্রভামণ্ডল নকৃত করিতেছ, তুমি অন্তক, তুমি স্থাবর জঙ্গম সমস্ত পদার্থস্বরূপ, হে হুতাশনপ্রভ! তুমি পরিকুপিত দিবাকরের ন্যায় প্রজা সকলকে দগ্ধ করিতেছ, তুমি লোকসংহারে উদ্যত প্রলয়কালীন অনলের ন্যায় ভয়ঙ্কর রূপে উত্থিত হইয়াছ। আমরা মহাবল, মহাতেজাঃ, অগ্নিসমপ্রত, বিদ্যুৎসমানকান্তি, তিমিরনিবারক, নভোমণ্ডল-