পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
১৮১

অশ্চর্য্য ক্ষমতা। এক্ষণে জিজ্ঞাসা করি, তুমি কি আকাঙ্ক্ষা করিয়া তথায় যাইতেছ। তুমি যে অভিলষিত লাভের আশয়ে সেই রাজার নিকটে যাইতেছ, যদি তাহা দুর্লভও হয়, আমি তোমাকে দিব, তুমি তথায় যাইও না। রাজা বিপ্রশাপে পতিত, তাঁহার আয়ুঃশেষ হইয়াছে, এমন স্থলে তথায় যাইলেও তোমার কৃতকার্য হওয়া সন্দেহস্থল। তাহা হইলেই, তোমার ত্রিলোকব্যাপিনী নিৰ্মলা কীর্তি, প্রভাহীন দিবাকরের ন্যায়, এক কালে বিলয় প্রাপ্ত হইবেক। হে দ্বিজবর,! যদি, তুমি রাজার নিকট ধনলাভবাসনায় যাইতেছ, এমন হয়, তাই। হইলে তুমি সেখানে যত পাইতে পার, আমি তোমাকে তদপেক্ষা অধিক দিতেছি, তুমি নিবৃত্ত হও। মহাতেজাঃ কাশ্যপ, তক্ষকবাক্য শ্রবণ করিয়া, রাজা পরীক্ষিতের মৃত্যুর বিষয় সবিশেষ অবগত হইবার নিমিত্ত, ধ্যানারম্ভ করিলেন। অনন্তর, দিব্যজ্ঞানপ্রভাবে রাজার আয়ুঃশেষ নিশ্চয় করিয়া, তক্ষকের নিকট হইতে অভিলাষানুরূপ ধন গ্রহণ পূর্ব্বক গৃহ প্রতিগমন করিলেন।

 এই রূপে মহাত্মা কাপ নিবৃত্ত হইলে পর, তক্ষক সত্বর গমনে হস্তিনাপুর প্রস্থান করিলেন। গমনকালে লোকমুখে শুনিতে পাইলেন, রাজা বিষহর মন্ত্র ও ঔষধ সংগ্রহ করিয়া যৎপরোনাস্তি সাবধান হইয়া আছেন। তখন তিনি এই চিন্তা করিতে লাগিলেন, মায়াবলে রাজাকে বঞ্চনা করিতে হইবেক, অতএব কি উপায় অবলম্বন করি? অনন্তর, স্বীয় অনুচর সর্পদিগকে তাপসবেশ ধারণ করাইয়া, রাজার নিকট প্রেরণ করিলেন, কহিয়া দিলেন, তোমরা, বিশেষ কার্য্য অছে, এইরূপ ভান করিয়া, অব্যাকুলিত চিত্তে রাজসভায় উপস্থিত হইয়া