পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সপ্তচত্বারিংশ অধ্যায়— আস্তীকপর্ব্ব।

উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, নাগরাজ বাসুকি মহর্ষি জরৎকারুকে কহিলেন, হে মুনিবর! আমার ভগিনী তোমার সনাম্নী বটেন, ইহারও নাম জরৎকারু। ইনি তোমার মত তপস্যায় রত। তুমি ইহাকে সহধর্মিণী রূপে পরিগ্রহ কর, আমি অঙ্গীকার করিতেছি, যাবজ্জীবন প্রাণপণে ইহার ভরণ, পোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করিব। আমি তোমারে দান করিবার নিমিত্তই এত দিন ইহারে অবিবাহিত রাখিয়াছি। ঋষি কহিলেন, তবে এই নিয়ম স্থির হইল, আমি ইহার ভরণ পোষণ করিব না। আর, ইনি কখনও আমার অপ্রিয় কর্ম্ম করিবেন না, করিলেই পরিত্যাগ করিব।

 নাগরাজ, ভগিনীর ভরণ পোষণ করিব, এই অঙ্গীকার করিলে পর, ধর্ম্মাত্মা জরৎকারু তদীয় অলিয়ে গমন পূর্বক যথাবিধানে নাগরাজভগিনীর পাণিগ্রহণ করিলেন। তদ্দর্শনে মহর্ষিগণ হর্ষিত মনে তাহার স্তব করিতে লাগিলেন। তদনন্তর জরৎকারু সহধর্ম্মিণীসমভিব্যাহারে বাসগৃহে প্রবেশ পূর্বক পরিকল্পিত পরম রমণীয় শয্যায় শয়ন করিলেন। তথায় তিনি পত্নীর সহিত এই নিয়ম করিয়া বাস করিতে লাগিলেন, তুমি কদাচ অপ্রিয় বাক্য কহিবে না ও অপ্রিয় কর্ম্ম করিবে না, করিলেই তোমাকে পরিত্যাগ করিব, এবং আর তোমার আবাসে অবস্থিতি করিব না; যাহা কহিলাম, স্মরণ করিয়া রাখিবে। নাগরাজভগিনী, স্বামিবাক্য শ্রবণে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।