অধ্যায় আছে জানিবেন। ধীমান্ পরাশরনন্দন এই পর্বে চতুর্দশ সহস্র সপ্ত শত সপ্ত শ্লোক রচনা করিয়াছেন।
হে মহর্ষিগণ! ইহার পরেই অতি প্রশস্ত অনুশাসনপর্ব। কুরুরাজ যুধিষ্ঠির ভগীরথীপুত্র ভীষ্মের নিকট ধর্ম্মনির্ণয় শ্রবণ করিয়া হতশোক ও স্থিরচিত্ত হইলেন। এই পর্বে ধর্ম ও অর্থের অনুকূল যাবতীয় ব্যবহার প্রদর্শন, অশেষবিধ দানের পৃথক পৃথক ফল নির্দেশ, সদসৎ পাত্র বিবেক, দানবিধি কথন, আচারবিধি নির্ণয়, সত্যস্বরূপ নিরূপণ, গো ব্রাহ্মণের মাহাত্ম্য কীর্ত্তন, দেশকালানুসারে ধর্ম্মরহস্য মীমাংসা, ও ভীষ্মদেবের স্বর্গারোহণ কীর্ত্তন আছে। ধর্ম্মনির্ণয়যুক্ত বহুবৃত্তান্তালব্ধত অনুশাসন নামক ত্রোয়োদশ পর্ব নির্দ্দির্ষ্ট হইল। এই পর্বে এক শত ষট্চত্বারিংশৎ অধ্যায় ও অষ্ট সহ শ্লোক সংখ্যাতি আছে।
তৎপরে আমেধিক নামক চতুর্দশ পর্ব। সংবর্তমুনি ও মরুরাজার উপাখ্যান, যুধিষ্ঠিরের হিমালয়স্থিত সুবর্ণরাশি প্রাপ্তি ও পরীক্ষিতের জন্ম। পরীক্ষিৎ অশ্বত্থামার অস্ত্রানলে দগ্ধ হইয়াছিলেন; কৃষ্ণ পুনর্বার তাঁহাকে জীবন দান করেন। উৎকৃষ্ট যজ্ঞীয় অশ্ব রক্ষার্থ তদনুগামী অর্জুনের নানা স্থানে কুপিত রাজপুত্রগণের সহিত যুদ্ধ। চিত্রাঙ্গদাগর্ভসস্তৃত নিজপুত্র ববাহনের সহিত সংগ্রামে অর্জুনের প্রাণসংশয় ঘটে। অশ্বমেধষজ্ঞে নকুলবৃত্তান্ত কীর্ত্তন। পরমাদ্ভূত আমেধিকপর্ব উক্ত হইল। তত্ত্বদর্শী মহর্ষি এই পর্বে এক শত তিন অধ্যায় ও তিন সহস্র তিন শত বিংশতি শ্লোক নির্দ্দেশ করিয়াছেন।
তৎপরে আশ্রমবাস নামক পঞ্চদশ পর্ব্ব। রাজা ধৃতরাষ্ট্র রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া বিদুর ও গান্ধারী সমভিব্যাহারে অরণ্য প্রবেশ পূর্বক ঋষিদিগের আশ্রমে বাস করেন। গুরুশুশ্রূষা-