পাতা:মহামন্ত্র - সুন্দরানন্দ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

": Y মহামন্ত্র SS একটি কঠিন পূর্বপক্ষ আবার অন্মৎসম্প্রদায়ের কেহ কেহ পূৰ্ব্বপক্ষ করিতে পারেন— “উপযুক্ত সমস্ত প্রমাণ ও যুক্তি না হয় স্বীকার করিলাম, কিন্তু আমাদের গুন্ডারগাঁ অন্ততঃ যাঁহাদের কথা আমরা জানি,-ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্ৰীশ্ৰীল। ঠাকুর ভবিবিনোদ, ওঁ বিষ্ণুপীদ শ্ৰীশ্ৰীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্ৰভুপাদ —এই দুই শ্ৰীগুরুপাদপদ্মের সম্মুখেই অসংখ্যাতভাবে মহামন্ত্র বহুবার। বহুস্থলে কীৰ্ত্তনের উদাহরণ আছে; ইহা কাহারও অস্বীকার বা গােপন করিবার উপায় নাই। এই দুই মহাপুরুষের আঁচরণ ও শিক্ষা কি অনুসরণীয় না হইয়া পরিবর্জনীয় হইবে ?” এই প্রশ্নের উত্তর আমাদিগকে সাবহিত হইয়া শ্রবণ করিতে হুইবে ;- কারণ,- “ড্ৰ'কোত্যজি, কা’কে বন্দি-দুহু পাল্লা ভারী।” একদিকে শ্ৰীশ্ৰীমন্মহাপ্ৰভূ, শ্ৰীশ্ৰীনামাচাৰ্য্য শ্ৰীল ঠাকুর হরিদাস, শ্ৰীশ্ৰীষড়গোস্বামী প্ৰভু, প্রভুর প্রকট-লীলাকালীন শ্ৰীশ্ৰীগৌরপার্ষদ বৃন্দ, শ্ৰীল ঠাকুর বৃন্দাবন, শ্ৰীল কবিরাজ গোস্বামী প্ৰভু, শ্ৰীশ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্যাদিপ্রভুত্রয়, আর একদিকে আমাদের সাক্ষাৎ কৃপাদাতা প্ৰাণকোটিসৰ্ব্বস্ব । শ্ৰীগুরুপাদপদ্ম। পাল্লার কোনদিকই কম-বেশী নহে। এখন ক্ষুদ্র জীবের পক্ষে উপায় কি ? “তদাজ্ঞা গুরূণাং হবিচারণীয়া” (চৈ চ ম। ১০|১৪৫ ধূত রঘুবংশ’-বচন )-এই নীতি-অনুসারে শ্ৰীগুরুপাদপদ্মের আজ্ঞাই অবিচারে পালন করিতে হইবে। কিন্তু আবার পূর্বগুরু শ্ৰীল নরোত্তম ঠাকুর মহাশয় যে বলিয়াছেন,-“মহাজনের যেই পথ, তাতে হ’র্বে অনুরত, পূর্বাপর করিয়া বিচার।” তিনি ত’ কেবল পরবৃৰ্ত্তা Digitized at BRCIndia.com