পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। কিছুকাল পরে ভবানন্দ রায়মজুমদারের তিন পুত্ৰ হইল ; জ্যেষ্ঠের নাম গোপাল, মধ্যমের নাম গোবিন্দ এবং কনিষ্ঠের নাম শ্ৰীকৃষ্ণ রাখিলেন। ইহাদিগের মধ্যে গোপাল রায় সৰ্ব্ব শাস্ত্রে সুপণ্ডিত । কিছু কালানন্তর রায়মজ,মদার তিন পূত্রের বিবাহ দিলেন ; সময় ক্রমে গোপাল রায়ের এক পুত্ৰ হইল, রাঘব তাহার নাম করণ হইল । ভবানন্দ রায় পৌত্র মুখ দর্শন করিয়। বিবেচনা করিলেন, এ পৌত্র অতি প্রধান মনুষ্য হইবেক ; যেহেতু ইহাকে সৰ্ব্ব লক্ষণাক্রান্ত দেখিতেছি । পৌত্রোৎ সবে মহতী ঘট। করিলেন। পশ্চাৎ ভ্রাত। সুবুদ্ধি রায় ও হরিবল্লভ রায়কে কিঞ্চিৎ জমিদারী করিয়া দিয়৷ আপনি সংসার হইতে বিরত হইলেন । জেষ্ঠ গোপাল রায় সৰ্ব্বাধ্যক্ষ হইয়া কাল যাপন করিতে লাগিলেন । কিছু দিন পরে ভ্রাত। গোবিন্দ রায় ও শ্রীকৃষ্ণ রায়কে কিঞ্চিৎ জমিদারী দিয়৷ ঈশ্বর ভজনার্থ তিনিও বিষয়ত্যাগী হইলেন। তৎপুত্ৰ রাঘব রায় সৰ্ব্বশাস্ত্রে গুণবান, দান শৌণ্ড প্রজ। পালনে বিচক্ষণ ও সৰ্ব্ব গুণশালী হইলেন । অহরহ দান, ধ্যান, যোগ, সদালাপ ও বিশিষ্ট লোকের সমাদর করাতে রাজ্য শুদ্ধ সকল লোকের নিকট বিলক্ষণ রূপে যশস্বী হইলেন, ক্রমে জমিদারীর বাহুল্য হইতে লাগিল, মনে মনে বিচার করিয়৷ স্থির করিলেন, একবার রাজধানীতে গমন