মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ২৭ বাহ দিয় রাজ। করিয়৷ আমি ঈশ্বরে মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক পরিত্রিকের কার্য্য করিব । ইহাই মনোমধ্যে স্থির করিয়| সকল সভাসদদিগকে আজ্ঞ। করিলেন, তোমরা সকলে বিবেচনা করিয়৷ উত্তম ংশে এক পরমসুন্দরী কন্য। স্থির কর, তামি ভূরায় রাজপুত্রের বিবাহ দিব ; সকলেই যে আজ্ঞ বলিয়। স্বীকার করিল। চতুর্দিক অন্বেষণ হইতে লগিল, শতই স্থানে লোক প্রেরিত হইল, পরে সর্ব সম্মতি ক্ৰমে ভদ্র বংশীয় এক পরম রূপবতীকুমারীর সহিত সম্বন্ধ নির্ণয় হইয়৷ বিবাহের উদ্যোগ হইতে লাগিল। রাঢ় গৌড় বঙ্গনিবাসি যাবতীয় রাজাগণ পণ্ডিত বর্গ এবং প্রধান ২ মনুষ্য সকলেই নিমন্ত্রিত হইলেন। বিবাহের দিবস ফান্ধন মাসে স্থির হইল ; যাবতীয মনুষ্যের কারণ নান। স্থানে ভাণ্ডার হইল, প্রতি ভাণ্ডারে চৰ্ব্বা, চোষ্য, লেহ, পেয়, চারি প্রকার সামগ্ৰী পরিপূর্ণ রহিল, এবং যে যেমন মনুষ্য র্তাহার তদুপযোগী বাস স্থান নিৰ্ম্মিত হইল ; রাজধানীতে নানা দেশীয় লোক আগমন করিতে লাগিল । রাজা আত্মজনদিগের প্রতি আজ্ঞা করিয়া দিলেন, তোমরা সৰ্ব্বদ। তত্ত্ব করিবে, বিস্তর লোকের আগমন হইতেছে, যেন কেহ অভূক্ত না থাকে, ষে যত লয়, তাহাই দিবে। রাজাজ্ঞানুসারে তাহার স্ব স্ব কর্য্যে সৰ্ব্বদ সাবধান থাকিল। পরে রাজ গণের আগমন শ্রবণ করিয়া রাজ আপনি প্রত্যেকের
