পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৪৫ তবে অবশ্যই ইহার উপায় স্থির হইবেক। যবন দমন না করিলে চিরদিন এ দৌরাত্ম্য সহ্য করিতে হইবেক;এমন কি কাহারে জাতি প্রাণ ধৰ্ম্ম ও বৈভব থাকিবে না। যদি যবন জাতি দেশাধিকারী না হইয়া অন্য কোন দেশীয় মনুয্য রাজা হন,তবেই দেশে ও প্রজাবর্গের কল্যাণ,মহারাজ মহেন্দ্র কহিলেন এইরূপ আমাদিগেরও বামন এবং এই নিমিত্তেই রাজাকে অসিতে লিখিয়াছিলাম; তিনি শারীরিক পীড়িত হইয়াছেন শুনিয়া দুঃখিত হইলাম ; ভরসা করি এতদিনে আরোগ লাভ করিয়া থাকিবেন । তুমি এক্ষণে বিদায় হইয়া যাও রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় যাহাতে শীঘ্র এখানে আসিতে পারেন তাহার বিধান করিবে, আর তোমার এস্থানে গৌণ করা বিধেয় নয়। কালীপ্রসাদ সিংহ নিবেদন করিলেন, এস্তানে আসিয়া নবাব সাহেবের সহিত যদি সাক্ষাৎ না করিয়৷ যাই, আর যদি দুষ্ট লোকে নবাব সমক্ষে এসমাচার ব্যক্ত করে, তবে নবাবের ক্রোধ হইবেক, অধিকন্তু নবাবের আজ্ঞা ব্যতিরেকে এ স্তলে মহারাজ আসিতে পারেন না । অতএব নিবেদন করি নবাব সাহেবের সহিত আমার সাক্ষাৎ লাভের উপায় করুন, আমি নবাব গোচরে নিবেদিব মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র একবার ঐযুতের সহিত সাক্ষাৎ করিতে নিতান্ত বাসনা করিয়াছেন এবং আর আর যে বিশেষমনোগত প্রার্থনা আছে