পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৭৫ কহিতে পারেন না। এইরূপে এক বৎসর গত হইল । পরে ইংরাজ লোক পাঁচ খানি জাহাজ সৈন্যতে পরিপূর্ণ করিয়া কলিকাতার নিকটে আসিয়া দূত দ্বার সম্বাদ পাইলেন যে, নবাব কিছু সৈন্য রাথিয় আপনি রাজধানীতে গমন করিয়াছেন। পরে যে সকল সৈন্য কলিকাতায় ছিল তাহাদিগকে কুণ্ঠীর মুখ্যে প্রবেশ পুৰ্ব্বক আত্ম জয় পতাক৷ উঠাইয় দিলেন । পশ্চাৎ সকলে পরম্পরায় শ্রবণ করিয়া অভ্যস্ত হৃষ্ট হইল এবং পূৰ্ব্বে যে সকল লোক চাকর ছিল, তাহার। এতদ্বাৰ্ত্তায় আনন্দসাগরে মগ্ন হইয়। স্ব স্ব পরিবার লইয়। নগরে প্রবেশ করিল। পরে সাহেবের নিকট নানা জাতীয় খাদ্য দ্রব্য ভেট দিয়া আত্ম সমাচার জানাইতে লাগিল। সাহেব অনেক প্রকার আশ্বাস দিয়া পুৰ্ব্বে যে যে লোক যে যে কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিল, সেই সেই লোককে সেই সেই কৰ্ম্মেতে নিযুক্ত করিলেন। নগরবাসী লোকদিগের আনন্দের সীমা রহিল না। পরে সাহেব প্রধান কৰ্ম্মচারিকে আজ্ঞা করিলেন যে পুৰ্ব্বে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় আমার নিকটে আসিয়াছিলেন, তাহাতে আমি র্তাহাকে কহিয়াছিলাম যে, বিলাতের আজ্ঞান। পাইয়। নবাবের সহিত বিবাদ করিতে পারি না। এখন বিলাভের কৰ্ত্তীর আজ্ঞ। পাইয়া আসিয়াছি । নবাবের সহিত যুদ্ধ করিব । র্তাহার। আমার সাহা