পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৭৭ এই প্রকার পত্র লিখিয়া কলিকাতায় সাহেবের নিকটে পাঠাইয়া দিলেন। পরে মুরশিদাবাদে আত্ম পাত্রকে পাঠাইলেন। সাহেব রাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের লিপি পাইয়া অভ্যন্ত তুষ্ট হইলেন, পশ্চাৎ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পাত্র মুরশিদাবাদে উপনীত হইয়া মহারাজ মহেন্দ্র, রাজ রামনারায়ণ, ও জগৎসেট এবং জাফরালি খী প্রভূতি সকলকে পূৰ্ব্ব বিবরণ স্মরণ করিয়া দিলেন, তাহতে সকলেই যথেষ্ট আশ্বাস দিয়া কহিলেন, “ তোমার রাজাকে সম্বাদ দাও যে কলিকাতায় লোক পাঠান ও যাহাতে সাহেব হ্রায় সৈন্য সহিত আইসেন তাহা করেন । মীর জাফরালি খী কহিলেন,“আমি নবাবের সেনাপতি, সকল সৈন্য আমার বশতাপন্ন যেমত কহিব, সৈন্যেরা তাঁহাই করিবে । কিন্তু আমার এক কথা সাহেবকে পালন করিতে হইবে ; ভাহা যদি তাহাকে স্বীকার করাইতে পার, তবে সাহেব যেমন আজ্ঞা করিবেন সেই মত কাৰ্য্য করিব। রাজ। কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পাত্ৰ কহিলেন, সে কি কথা? আজ্ঞা করুন ; আমি সাহেবকে নিবেদন করিয়া স্বীকার করাইব । মীর জাফরালিখা কছিলেন, যদি সাহেব এই প্রতিজ্ঞা করেন যে, পশ্চাৎ এ দেশের নবাবি আমাকে দিবেন তবে আমি মনোযোগ পুৰ্ব্বক সাহেবের সহিত যুদ্ধ করিব না, অগ্রে এই সমাচারের উত্তর আন । -