পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৯২ বিবেচনা করিয়া আজ্ঞা করুন, কি যজ্ঞ করিব । পণ্ডিতেরা কহিলেন, মহারাজ ! সোম যাগ করুন । মহারাজ শিবচন্দ্র রায় পণ্ডিতদিগের বাক্যে উত্তম উত্তম যজ্ঞ করণানন্তর বহু বধ দান করিয়া ঈশ্বরে মনোপণ পূৰ্ব্বক লোকান্তরে গমন করিলেন । মহারাজ শিবচন্দ্র রায়ের এক পুত্র ঈশ্বরচন্দ্র রায়, কিছু দিনান্তরে নবদ্বীপের রাজ। হইলেন । পুৰ্ব্বে যে সকল মন্ত্রী ছিলেন, র্ত হাদিগেরও লোকান্তর হইয়াছে, উপযুক্ত মনুষ্য না পাইয়া অন্ত উদ্বিগ্ন চিত্ত হইলেন, দিন দিন রাজ্যের ক্ষীণত এবং নাম প্রকারে অর্থব্যয় হইতে লাগিল । এই প্রকারে কতক কাল রাজ্য করলেন। ই হার পুত্র গিরীশচন্দ্র রায় ক্রমে উপযুক্ত হইয়। উঠিলেন । মহারাজ ঈশ্বরচন্দ্র রায় কম্পতরুর ন্যায় দাতা ছিলেন । তিনি সৰ্ব্বদা দান ধ্যান ঈশ্বরীরাধনা করতেন ; কিছু কাল এইরূপে রাজ্য করিয়। পরলোক প্রাপ্ত হইলেন । গিরিশচন্দ্র রায় মহাশয়কে সাহেব লোক সকলে লথেষ্ট অনুগ্রহ করতে লাগিলেন। যে সময়ে তিনি নবদ্বীপের রাজত্ব প্রাপ্ত হইলেন ; ভৎকালে রাজ্যের অনেক হ্রাস হইয়াছে, তথাপি পুৰ্ব্বের মহারাজার। যেমন ব্যবহার করিয়াছিলেন, মহারাজ গিরিশচন্দ্রও সেই ধরাবাহিক আচরণ করিতে লাগিলেন । তিনি অত্যন্ত দাতা ছিলেন,