এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
মহা প্রয়াণ ఏపో “কৈশোর, যৌবন, বাৰ্দ্ধক্য, মরণ ক্রেমে ক্রমে ফলে কালে— এই মানবের পরিণাম— মৃত্যু ফেরে সাথে নাহিক নির্ণয় কবে কার হরিবে চেতন ৷” মানব দেহ নিতান্ত ক্ষণস্থায়ী অতি ভঙ্গুর—
- জলবিম্ব সম এ শরীর ! গৌরব ইহার কিবা ? অসুবিম্ব প্রায় নর উঠে, অসুবিম্ব প্রায় পুনঃ টোটে । মৃত্যু পাছে ফেরে লক্ষ্য নাহি করে।” জীবনের এই নশ্বরতা, পার্থিব জগতে মানুষের এই ক্ষনস্থায়ী অবস্থান—এরই উপর বোধ হয় হিন্দুধৰ্ম্মের ত্যাগ মন্ত্র প্রতিষ্ঠিত এই নশ্বরতা লক্ষ্য করিয়াই বোধ হয় মৃত্যুঞ্জয়ী মুণি ঋষিগণ ভারতের সাধনাকে ত্যাগের আদর্শে মহীয়সী করিয়া তুলিয়াছেন। বিলাসবাসনা পরিহার, ইন্দ্রিয় ও কামনা নিরোধ পূর্বক সত্য, সুন্দর ও শিবের সন্ধান করিতে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন । তাই ; ভারতের বুকে শঙ্করাচার্য্যের বাণী জীমূতমন্দ্রে ধ্বনিত হইয়াছিল— *নলিনী দলগত জলমতি তরলম তদ্বদজীবনমতিশয় চপলম ক্ষণমিহ সজ্জন সঙ্গতি রেকা ভবতি ভবাণবে তরণে নৌকা”