পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্য শুভ কৈশোল্ল দিন যায়। এমনি করিয়া সুখে দুঃখে হাসি কান্নায় যে জীবন গঠিত ও পুষ্ট হইয়া উঠিতেছিল তাহার উপর সহসা একদিন ভগবানের রুদ্ররোষানল বর্ষিত হইল । স্নেহের উৎস, করুণার আধার দরিদ্র জীবনের একমাত্র অবলম্বন মাতা সহসা মৃত্যুর আহবানে সন্তানের মমতা পরিত্যাগ করিয়া এক নূতন লোকের সন্ধানে চলিয়া গেলেন । হায়রে কঠোর আহবান ! তোমার ঈঙ্গিতে ব্যাকুল হইয়া সন্তানেরও মমতা পরিত্যাগ করিয়া জননী চলিয়া যায়, এক মুহূৰ্ত্তও সস্তানের কি হইল দেখিয়া যাইবার অবকাশ পায় না ! এই স্মৃষ্টি ! এই জগত । এই পিতৃ মাতৃস্নেহের ঐহিক পরিনতি । দুই বৎসরের মণীন্দ্র চন্দ্র নিরাবলম্ব হইয়া একমাত্র পিতার স্নেহ শীতল ক্রোড়ে ঝাপাইয়া পড়িলেন । নিরুপায় পিতা ! সংসার, উপার্জন, আহার, সন্তান পালন অনেক কিছুই তাহার অবশ্বকৰ্ত্তব্য। তবু পিতা সব ত্যাগ করিয়া একমাত্র পুত্রকে ক্রোড়ে লইয়া অকুল সাগরে ভাসিলেন। র্তাহার ধ্যান, জ্ঞান, ধারনা সবই একমাত্র পুত্রপরিপালনে পৰ্য্যবসিত হইল । হাটিয়া যাইতে পুত্ৰ আছাড় খাইয়া পড়েন, গৃহকৰ্ম্মরত পিতা ছুটিয়া আসিয়া বুকের মানিককে বুকে তুলিয়া লন । খেলিতে খেলিতে অবোধ বালক র্কাদিয়া উঠে, আহার নিরত