মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চরিত্র"। *> দয়মতে দিব। প্রধানং ভূতের মহাশঙ্কাস্থিত হইয়া নীরব হষ্টলেন অনন্তর সাজেরদৌলা নানা প্রকার দৌরাত্ম্য করিতে আরম্ভ করিলেন নদী দিয়া নৌকা যায় সে নৌকা ডুবায় মনুষ্য সকল ডুবে মরে ইছাই দেখে এৰ^ যাহার আলয়ে শুনে পরমসুন্দরী কন্যা আছে বলক্রমে সেই কন্যা হরণ করে ও গদ্ভিণী শ্ৰী আনিয়৷ উদর চিরিয়া দেখে কোন খানে সন্তান থাকে এইরূপ অতিশয় দৌরাত্ম্য আরম্ভ করিল। সকল লোক বিবেচনা করিতে প্ৰবৰ্ত্ত হইল পরস্পর বিবেচনা করিলেন এ দেশে আর থাকা পরামর্শ নছে নগরস্থ লোক সকল মুরশিদাবাদ ত্যাগ করিয়া পলায়নপর হইল হাহাকার শব্দ উঠিল সকল লোকেই ঈশ্বরের স্থানে আরাধনা করিতে প্রবর্ত হইল যে এ দেশে জবন অধিকারী না থাকে। কিছু দিন যায় নবাব আলাবৃদ্ধির লোকান্তর হইলে সাজেরদৌল। নবাব হইলেন যাৰদীয় প্রধানং তৃত্যবর্গের ভেট দিয়া করপুটে নিবেদন করিলেন আপনি এখন এ দেশের কৰ্ত্ত হইলেন যাহাতে রাজ্যের লোক সুখী হয় তাহ করিৰেন ঈশ্বর আপনকারে সর্ব শ্রেষ্ঠ করিলেন এ দেশের লোককে সুখে রাখিলে বহুকাল রাজ্য করিতে পারিলেন এই প্রকার পাত্র মিত্র লোকে সৰ্ব্বদা বুকান কিন্তু তিনি দুষ্ট প্রকৃতি ত্যাগ ও উত্তম বাক্য প্রবণ করেন না সকল লোক এৰণ প্রধানং চাকরের বিবেচনা করিলেন গ্রাজেয়দৌলা নৰাৰ থাকিলে কাহারে কল্যাণ নাই অতএব কি হইৰে কোথা যাৰ ইহ ভাবিয়া স্থির করিতে পারেন না পরে যাবৎ দেশীয় রাজা ঐক্য হইয়া নৰাবের প্রধান পাত্র মহারাজ মহেক্সকে নিবেদন করিতে প্রবর্ত হইলেন। রাজবর্গ এইং বর্ধমানের রাজা ও মৰদ্বীপের রাজা দিনাজপুরের রাজা বিষ্ণুপুরের রাজা মেদিনীপুরের রাঙ্গ বীরভূমের
