পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চরিত্রং.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্য চরিত্র^। মনেং বিবেচনা করিলেন কোনমতে রক্ষা নাই আপন সৈন্য বৈরী হইল অতএব আমি এখানহইতে পলায়ন করি ইহাই স্থির করিয়া নৌকোপরি আরোহণ করিয়া পলায়ন করিলেন। পরে ইঙ্গরাজ সাহেবের নিকটে সকল সমাচার নিবেদন করিয়া মীর জাফরালি ঐ মুরশিদাবাদের গড়েতে গমন করিয়া ইঙ্গরাজী পতাকা উঠিয়া দিলে সকলে বুঝিল ইঙ্গরাজ মহাশয়েরদিগের জয় হইল তখন সমস্ত লোকে জয়ং ধ্বনি করিতে প্রবর্ত হইল এব°S নানা বাদ্য বাজিতে লাগিল। যাৰদীয় প্রধানং মনুষ্য ভেটের দুৰ্য দিয়া সাহে বের নিকট সাক্ষাৎ করিলেন সাহেব সকলকে আশ্বাস করিয়া যিনি যে কর্মে নিযুক্ত ছিলেন সেইং কৰ্ম্মে তাহকে নিযুক্ত করিয়া রাজপ্রসাদ দিলেন মীর জাফরালি থাকে । নবাব করিয়া সকলকে আজ্ঞা করিলেন তোমরা সকলে সাবধানপূৰ্ব্বক রাজকৰ্ম্ম করিব রাজ্যের প্রতুল হয় এব^ প্রজ লোক দুঃখ না পায় সকলে আজ্ঞানুসারে কার্য্য করিতে লাগিলেন । পরে নবাব সুজেরদৌল পলায়ন করিয়া যান তিন দিবস অভূক্ত অত্যন্ত ক্ষুধিত নদীর তটের নিকট এক ফকিরের আলয় দেখিয় নৌকার কর্ণধারকে কহিলেন এই ফকিরের স্থান তুমি ফকিরকে বল কিঞ্চিৎ খাদ্য সামগ্রী দেও এক জন মনুষ্য বড় পীড়িত কিঞ্চিৎ আহার করিবেক । ফকির এই বাক্য শ্রবণ করিয়া নৌকার নিকট আসিয়া দেখিল নবাব সুজেয়দৌলা অত্যন্ত বিষগ্ন বদন। ফকির সকল বৃত্তান্ত জ্ঞাত হইয়াছে বিবেচনা করিল নবাব পলায়ন করিয়া যায় ইহাকে আমি ধরিয়া দিব আমাকে পূৰ্ব্বে যথেষ্ট নিগ্ৰহ করিয়াছিল তাহার শোধ লইব ইহাই মনোমধ্যে স্থির করিয়া করপুটে বলিল আমি আহারের