পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০

না অতএব তোমার রাজা অতি বিজ্ঞ এবং নানা শাস্ত্রে পণ্ডিত ও অতি বড় বুদ্ধিমান অতএব তাহার সহিত পরামর্শ করিয়া ইহার উপায়ান্তর চেষ্টা পাওয়া যায়। এই বাক্য শ্রবণ করিয়া কর যোড়ে কালীপ্রসাদ সিংহ নিবেদন করিলেন মহারাজ যে ২ আজ্ঞা করিলেন সকলি প্রমাণ কিন্তু রাজ্যকর্ত্তা অতি দুর্বৃত্ত সাবধানে এ সকল পরামর্শ করিবেন আমার মহারাজাও সর্ব্বদা এই চিন্তাতেই চিন্তিত আছেন অতএব নিবেদন করি যদি মহারাজারদিগের সকলের ঐক্যবাক্য হইয়াছে তবে অবশ্য ইহার উপায় হবেক কিন্তু জবন দমন না করিয়া যদি এরূপ দৌরাত্ম্য সহ্য করেন তবে কারু জাতি প্রাণ থাকিবে না এবং জবন অধিকারী না হইয়া অন্য কোন দেশীয় মনুষ্য দেশাধিকারী হন তাহা হইলে সকল মঙ্গল হবেক। মহারাজ মহেন্দ্র উত্তর করিলেন এই রূপ আমারদিগের বাসনা এই নিমিত্তে তোমার রাজাকে আসিতে লিখিয়াছিলাম তিনি শারীরিক পীড়িত হইয়াছেন অতএব তুমি শীঘ্র বিদায় হও যাহাতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় শীঘ্র এখানে আসিতে পারেন তাহা করিবা আর এ স্থানে গৌণ করিও না। কালীপ্রসাদ সিংহ নিবেদন করিলেন এ স্থানে আসিয়া নবাব সাহেবের সহিত যদি সাক্ষাৎ না করিয়া যাই আর যদি দুষ্ট লোকে নবাব গোচরে সমাচার কহে তবে নবাবের উষ্মা হইবেক আর নবাবের আজ্ঞা ব্যতিরেক এ সহরে আমার মহারাজ আসিতে পারেন না অতএব নিবেদন করি আমাকে