পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫২

কাতার কোঠির বড় সাহেবকে বিস্তারিত সমাচার লিখিলেন সাহেব সর্ব্বত্রের পত্র পায়া সম্বাদ জ্ঞাত হইলেন।

 এই সময় নবাব সাহেব রাজা রাজবল্লভের উপর কোন কার্য্যের কারণ উষ্মান্বিত হইলেন কিন্তু বাহ্যে প্রকাশ করেন নাই। রাজা রাজবল্লভ আপন পুত্র কৃষ্ণ দাসের সাহিত গোপনে বিবেচনা করিলেন যে নবাব সাহেব আমারদিগের উপর উষ্মা করিয়াছেন অতএব যদি আমরা এথানে থাকি তবে জাতি প্রাণ ও ধন সকল যাবেক অতএব এই সময় সপরিবারে পলায়ন করি। রাজা কৃষ্ণ দাস কহিলেন নবাবের সাক্ষাতে থাকিলে এ সকলি সারিরে কিন্তু পলায়ন করিয়া কোথায় যাইব সকল দেশ নবাবের। রাজা রাজবল্লভ কহিলেন চল কলিকাতায় যাই সে স্থান নবাবের অধিকার নহে ইঙ্গরাজ সাহেবেরদিগের অধিকার এবং তাহারদিগের গুণরাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বিস্তারিয়া কহিয়াছেন তাহাতে আমি জ্ঞাত আছি তাহারা শরণাগত জনকে ত্যাগ করেন না অতএব কলিকাতায় গমন করা পরামর্শ নতুবা সকল নষ্ট হবেক। এই স্থির করিয়া সপরিবারে পলায়ন করিয়া রাজা রাজবল্লত কলিকাতায় আসিয়া কোঠির বড় সাহেবের শরণ লইয়া বিস্তারিত নিবেদন করিলেন। কোঠির সাহেব আশ্বাস করিয়া বলিলেন তোমারদিগের কোন চিন্তা নাই তুমি কলিকাতায় থাকহ। ইহাই বালিয়া আপনার প্রধান চাকরকে কহিয়া দিলেন রাজা রাজবল্লভ