পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २७१ ) রমণকৃষ্ণনামে কৃষ্ণদাসের চারি পুত্র, কালীশঙ্কর ও রামকানাই নামে গঙ্গাদাসের দুই পুত্র, রাজনারায়ণ নামে রতনকৃষ্ণের বিধবা পত্নীর দত্তকপুত্র, নীলমণি নামে রাধামোহনের পোষ্য-পুত্র এবং কেবলরাম নামে রাজবল্লভের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র জীবিত ছিলেন। গঙ্গাদাসের জ্যেষ্ঠ পুত্র কালীশঙ্কর পিতৃব্যের স্বার্থপরতায় ক্ষুণ্ণ হইয়া, ঢাকার মফস্বল দেওয়ানী আদালতে জমিদারী বাটোয়ারার নিমিত্ত আবেদন করেন। রায় গোপালকৃষ্ণ সেই মোকদ্দমায় উপস্থিত হইয়া নানারূপ আপত্তি উথাপন করিলে, বিচারপতি ডনকান সাহেব, ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দের ১৩ই নবেম্বর তারিখে রায় প্রকাশ করেন । এই নিম্পত্তি দ্বারা, রাজবল্লভের জমিদারী সমান পাচ অংশে বিভক্ত হইয়া একাংশ রাজা গঙ্গাদাসের দুই পুত্র, একাংশ কৃষ্ণদাসের চারি পুত্র, একাংশ রায় গোপালকৃষ্ণ, একাংশ রাধামোহনের দত্তক-পুত্র এবং অবশিষ্ট একাংশ কেবলকৃষ্ণ প্রাপ্ত হন। রামদাস ও রতনকৃষ্ণ পিতার জীবদ্দশায় পরলোক প্রাপ্ত হওয়ায়, তাহাদের দত্তকপুত্ৰগণ জমিদারীর অংশ হইতে বঞ্চিত হন, এবং প্রত্যেক দত্তক-পুত্রের গ্রাসাচ্ছাদনের নিমিত্ত, জমিদারীর উপস্বত্ব হইতে মাসিক একশত টাকা বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত হয়। গোপালকৃষ্ণের পক্ষ হইতে এই নিম্পত্তির বিরুদ্ধে সকোন্সিল গবৰ্ণর জেনারেল বাহাদুরের সমীপে আপিল হইয়াছিল, কিন্তু তাহাতেও নিম্ন আদালতের নিম্পত্তি স্থিরতর রহিয়াছিল। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই রায় গোপালকৃষ্ণ পরলোক গমন করেন, এবং তাহার পুত্ৰ পীতাম্বর সেন পূৰ্ব্বোক্ত ডিক্ৰী যাহাতে কার্য্যে পরিণত না হইতে পারে, তদ্বিষয়ে নানারূপ চেষ্টা করিতে থাকেন । অবশেষে ঢাকা বিভাগের কালেক্টর শ্ৰীযুক্ত ডে সাহেব, ডিক্ৰী অনুসারে জমিদারী বিভাগ করিবার উদ্দেন্তে, সহকারী টম্সন সাহেবের প্রতি ভার অর্পণ করেন (১)। (>) History of Backergunge by Beveridge, page 96.