পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৫ ) দারী কাৰ্য্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ১) । কাহারও মতে তিনি কানুনগু বিভাগের প্রধান মুহুরীর কার্য্য করিতেন। বিক্রমপুরের অন্তর্গত মালথানগর গ্রামে এক সে-ঘরার ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। খ্ৰীযুক্ত বাবু কিশোরীমোহন বসু (২) বলেন ঐ গুহের এক ইষ্টকে “শ্ৰীগোবিন্দ আসরন দেবীদাস বসু কামুনগুই। নাওয়ার এতমাম শ্ৰীকৃষ্ণাই খাসনবীস সন ১০৮৭ বাঙ্গালা মাছে চৈত্র” এই কথা কয়টি এবং অপর ইষ্টকে “বাদসাহ আরঙ্গঞ্জীব নাওয়ার আমির ওল ওমরা দেওয়ান হাজি সফি খা” এই উক্তি লিখিত ছিল (৩) । শ্ৰীকৃষ্ণাই খাসনবীস ও কৃষ্ণজীবন মজুমদার অভিন্ন ব্যক্তি হইলে ঐ দুই ইষ্ট্রকলিপি হইতে প্রতীয়মান হইতেছে, যে সময় সম্রাট আরঙ্গজেব দিল্লির সিংহাসনে সমারূঢ় এবং হাজি সফি খাঁ বাঙ্গালার নবাবী পদে নিযুক্ত ছিলেন, ঐ সময় অর্থাৎ ১৬৮০ খৃষ্টাব্দে দেবীদাস বসু কানুনগুর পদে এবং কৃষ্ণজীবন মজুমদার খাসনবীস ও নাওয়ার মহালের এহেতেমাম পদে নিযুক্ত ছিলেন। ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, সায়েস্ত। খা এবং মহম্মদ আজিমের নবাবী কার্য্যের সন্ধি স্থলে অর্থাৎ ১৬৭৮ খৃষ্টাব্দে হাজি সফি খা নামে সম্রাট আরঙ্গজেবের জনৈক সচিব বাঙ্গালা দেশের নবাবী কার্য্যে অভিষিক্ত ছিলেন। কিশোরী বাবু বলেন, কৃষ্ণজীবনের পুত্র রাজবল্লভ উত্তরকালে প্রধান রাজপদে নিযুক্ত হইয়া মালখানগরের বমুবংশের অনেক উপকার সাধন করিয়াছেন এবং উভয় পরিবার মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ ছিল। অতএব নিৰ্দ্ধারণ করা যাইতে পারে (১) রাজবল্লভের উত্তর পুরুষের নিকট যে হস্ত-লিখিত পুস্তক বিদ্যমান আছে, তাহাতে ঐক্লপ লিখিত আছে । (২) মালখনগর নিবাসী দেবীদাস বসুর জনৈক উত্তর পুরুষ। (৩) সেঘরায় এখন ঐ ইষ্টকদ্বয় বিদ্যমান নাই। খ্ৰীযুক্ত বাবু কিশোরীমোহন বহু বলেন, উহা এখন ঢাকার উকিল শ্ৰীযুক্ত বাবু রজনীকান্ত বস্তু, এম, এ, বি, এল মহাশয়ের নিকট আছে।