( «مه ) জগৎশেঠের আলয়ে কাৰ্য্য করিতেন এবং পশ্চাৎ সুযোগ ক্রমে মুরশিদাবাদের নবাব সরকারে প্রবেশ করিয়া মুরাদ আলির সহিত ঢাকায় আগমন করেন তাহা বিশ্বাস যোগ্য নহে। সুকুমারমতি বালকবৃন্দের নিমিত্ত মার্শম্যান সাহেব যে বাঙ্গালার ইতিহাস প্রণয়ণ করিয়াছেন, একমাত্র সেই ক্ষুদ্র ইতিহাস ভিন্ন অন্য কোন গ্রন্থে লিখিত নাই যে, রাজবল্লভ মুরাদ আলির সহিত মুরশিদাবাদ হইতে ঢাকায় আসিয়া নাওয়ার বিভাগের কার্য্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছিলেন । , , ইয়ার্ট সাহেবন্ধত বাঙ্গালার ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ১৭৩৪ খৃষ্টাব্দে মুরাদ আলি নাওয়ার বিভাগের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন এবং ঐ সময় রাজবল্লভ ঐ বিভাগের জমানবীসের. পদে নিযুক্ত ছিলেন । রাজবল্লভের পিতা কৃষ্ণজীবন মজুমদার নাওয়ার বিভাগের এহেতেমামপদে প্রতিষ্ঠিত থাকার কথা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। পিতার অনুকম্পায় যে রাজবল্লভ এই বিভাগে প্রবেশ লাভ করিয়াছিলেন, এই সিদ্ধান্তই প্রকৃত বলিয়া বোধ হয়। রাজবল্লভ প্রথম অবস্থায় নাওয়ার বিভাগের শিক্ষানবাসি পদে নিযুক্ত হইয়া ঢাকায় অবস্থান করিতেন এবং ক্রমে উন্নতি লাভ করিয়া ঐ বিভাগের অধ্যক্ষপদ লাভ করিয়াছিলেন। প্রতাপ বাবুর নিকট হইতে সংগৃহীত হস্তলিখিত পুস্তকে যাহা লিপিবদ্ধ আছে তদ্বারাও এই উক্তিই সমর্থিত হইতেছে । জানকীরাম, রামনারায়ণ এবং মোহনলাল প্রভৃতি ব্যক্তিগণ যেমন স্বীয় প্রতিভাবলে উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন, রাজবল্লভও তদ্রুপ স্বীয় প্রতিভাবলে ক্রমে রায়, রাজা ও মহারাজ প্রভৃতি সন্মানস্থচক উপাধি লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । ত্রযুক্ত বাবু আনন্দ নাথ রায় মহাশয়ের উক্তিও একেবারে ভিত্তিশূন্ত না হইতে পারে। (১) (১) খ্ৰীযুক্ত বাবু কৈলাসচত্র সিংহ রাজবল্লভের “মহারাজ” উপাধি সম্বন্ধে নিৰ্ব্বাক রছিয়াছেন। তিনি রাজবল্লভের প্রতি যে অমুকম্প প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহাতে
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৭৮
অবয়ব