বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত 2 o' > চাহিয়া তৃপ্তিলাভ করিতেন না। ভোজনান্তে যদি যোদ্ধা মৃদুস্বরে বিদায় চাহিতেন, বা অন্ত দুই একটি কথ। কহিতেন, বেপথুমতী উদ্বিগ্ন। সরযূবালা তাহার উত্তর দিতে পারিতেন না ; লজ্জায় তাহার গণ্ডস্থল আরক্তবর্ণ হইত, নয়ন দুইটি মুদিত হইত, অবগুণ্ঠন টানিয়া সরযু সরিয়া যাইতেন, সহচরীকে দিয়া উত্তর পাঠাইয়া দিতেন । কিন্তু উত্তরের আবশ্বক কি ? সরযূব নয়নের ভাল। রঘুনাথ বুঝিতেন, রঘুনাথের নয়নের ভাষা সরযু বুঝিতেন । উভয়ের জীবন, মন, প্রাণ, প্রথম প্রণয়ের অনিৰ্ব্বচনীয় অনিনা লহরীতে প্লাবিত হুইতেছিল, উভয়ের হৃদয় প্রথম প্রণয়ের উদ্বেগে উৎক্ষিপ্ত হইতেছিল। অল্পদিন মধ্যে বিজয়পুরের অধীনস্থ আলেঞ্চ গুলি দুর্গ হস্তগত করিয়া শিৰঞ্জী অবশেষে একটি অতিশয় দুর্গম পৰ্ব্বতদুর্গ লইবার মানস করিলেন। তিনি কবে কোন দুর্গ আক্রমণ করিবেন, পূৰ্ব্বে কাহাকেও তাহার সংবাদ দিতেন না, নিজে লৈস্যেরাও পূর্বে কিছুমাত্র জানিতে পারিত না । দি ধাভাগে সেই দুর্গ হইতে ৫৬ ক্রোশ দূরে জয়সিংহের শিবিরের নিকটেই তাহার শিবির ছিল, সায়ুংকালে এক সহস্র মাউলী ও মহারাষ্ট্ৰীয় সেনাকে প্রস্তুত হইতে কহিলেন, এক প্রহর রজণীর সময় গভীর অন্ধকালে প্ৰকাশ করিলেন যে, রুদ্রমণ্ডল দুর্গ আক্রমণ করিবেন, নি:শব্দে সেই এক সহস্ৰ সেনাসমেত দুর্গাভিমুখে গমন করিলেন । অন্ধকার নিশীথে নি:শব্দে দুর্গ তলে উপস্থিত হইলেন । চারিদিকে সমভূমি, তাহার মধ্যে একটি উচ্চ পৰ্ব্বতশৃঙ্গের উপর রুদ্রমণ্ডল দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। পৰ্ব্বতে উঠিবার একমাত্র পথ আছে, এক্ষণে যুদ্ধকালে সেই পথ রুদ্ধ হইয়াছে। অন্তান্ত দিকে উঠ। অতিশয় কষ্টসাধ্য, পথ মাই,কেবল জঙ্গল ও শিলারশি পরিপূর্ণ। শিৰঙ্গী সেই কঠোর দুর্গম