পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রতীত Տ 8 Չ অনেক প্রকার প্রবেtধবাক্য দিয়া লক্ষ্মী ভ্রাতার মন শাস্ত করিতে লাগিলেন। বলিলেন,—আমাদিগের জীবনই এইরূপ, সকল দিন সমান থাকে না । ভগবান যে মুখ দেন, তাহ আমরা ভোগ করি, যদি একদিন দুঃখ পাই, তাহা কি সহ করিতে বিমুখ হইব ? মানবজন্মই দুঃখময়, যদি আমরা সহ না করিব, তবে কে করিবে ? মুদিন ছুদিন সকলেরই আছে, ছুদিনে যেন আমরা সেই বিধাতার নাম করিয়া নিজ শোক বিস্মৃত হই । তিনিই একদিন পিত্রালয়ে আমাদের মুখ দিয়াছিলেন, তিনিই অপ্ত কষ্ট দিয়াছেন, তিনিই পুনরায় লে কষ্ট মোচন করিবেন। ভাই ! এ নৈরাশ্য দূর কর, এরূপ অবস্থায় থাকিলে শরীর কত দিন থাকিবে ? আহরশিদ ত্যাগ করিলে মনুষ্য-জীবন কত দিন থাকে ? রঘুনাথ। থাকিবার অবশ্যক কি ? যে দিন বিদ্রোহী বলিয়া সৈনিকের নামে কলঙ্ক পড়িল, সেই দিন সৈনিকের জীবন গেল নী কি জন্য ? লক্ষ্মী। তোমার ভগ্নী লগীকে চিরদুঃখিণী করিবে, এই কি ইচ্ছা ? দেখ ভাই, আমার আর এ জগতে কে আছে ? পিতা নাই, মাতা নাই, জগৎসংসারে কেহ নাই। তুমিও কি দুঃখিনী লক্ষ্মীর প্রতি সমস্ত মমতা ভুলিলে ? বিধাতা কি এ হতভাগিণীর উপর একেবারে বিমুখ হইলেন ? রঘুনাথ। লক্ষ্মী ! তুমি আমাকে ভালবাস, তাছা জানি, তোমাকে যে দিন কষ্ট দিব, সে দিন যেন ঈশ্বর আমার প্রতি বিমুখ হন । কিন্তু ভগিনি ! এ জীবনে আর আমার মুখ নাই, তুমি স্ত্রীলোক, সৈনিকের শোক বুঝিবে কিরূপে ? জীবন অপেক্ষা আমাদিগের মুনাম প্রিয়, মৃত্যু অপেক্ষা কলঙ্ক ও অপষশ সহস্ৰগুণে কষ্টকর। সেই কলঙ্কে রঘুনাথের নাম কলঙ্কিত হুইয়াছে।