পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ఏt তৈমুরের বংশে কাহারও সাহস বা বাহুবলের অভাব নাই, তৰে আর কেহ এরূপ জয়সাধন করিতে পারেন নাই কি জন্ত ? না জর্হাপনা ! কেবল সদাচরণেই এরূপ জয়লাভ হইয়াছিল। তিনি শত্রুদিগের প্রতি সদাচরণ করিতেন, অধীন হিন্দুদিগের বিশ্বাস করিতেন, হিন্দুরাও এবম্বিধ সম্রাটের বিশ্বাসভাজন হইবার চেষ্টা করিত। মানসিংহ, টোডরমল্প, বীরবল প্রভৃতি হিন্দুগণই মুসলমান-লাম্রাজ্যের স্তম্ভম্বরূপ হইয়াছিলেন । উতম ব্যক্তিকেও অবিশ্বাস করিলে সে ক্রমে অধম হইয়া যায়, অধম কাফেরের প্রতিও সদাচরণ ও বিশ্বাস করিলে তাহারা ক্রমে বিশ্বাসযোগ্য হয়, মানবের এই প্রকৃতি, শাস্ত্রের এই ।লখন। আমাদের দক্ষিণদেশের যুদ্ধে শিবজী অনেক সহায়তা করিয়াছেন, জহাপনা ! তাহাকে সম্মান করিলে তিনি যত দিন জীবিত থাকিবেন, দক্ষিণদেশে মোগল-সাম্রাজ্যের স্তম্ভম্বরূপ থাকিবেন। দানেশমন্দ কি জন্ত সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন, পাঠক বোধ হয় এতক্ষণে বুঝিয়াছেন। দিল্লীশ্বর শিবাজীকে আহবান করিয়া বন্দী করায় জ্ঞানী ও সদাচারী মুসলমান সভাসদমাত্রই লজ্জিত হইয়াছিলেন। দানেশমদকে সম্রাটু সমাদর করিতেন, তিনি কোনরূপে কথাচ্ছলে সম্রাটের কুপ্রবৃত্তি ও মন্দ উদেশ্য র্তাহাকে দেখাইয়া দিবার জন্ত উৎসুক হইয়াছিলেন। শিৰঞ্জীর প্রতি ভদ্রাচরণ করিয়া সম্রাটু তাছাকে স্বদেশে যাইতে দেন, দানেশমন্দ এই উদ্দেশ্যে আসিয়াছিলেন। দীনেশমন্দ জানিতেন না যে, হস্ত দ্বারা প্রকাও ভূধরকে বিচলিত করা সম্ভৰ, কিন্তু পরামর্শ দ্বারা আরংজীবের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও গভীর উদ্দেশ্য গুলি বিচলিত করা যায় না । দানেশমন্দের উদার সারগর্ভ কথাগুলি কুটিল আরংজীবের নিকট অতিশয় নিৰ্ব্বোধের কথার স্থায় বোধ হইল। তিনি ঈষৎ