পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ ՅԵ, মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত দিয়া পারিতোধিক গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই দোষে নির্দোৰী নিষ্কলঙ্ক বীর রঘুনাথের প্রাণদণ্ডের প্রয়াস পাইয়াছিলেন, এ কথা সকলে জানিতে পারিয়া রোষে হুঙ্কার করিয়া উঠিলেন । তখন শিবজী বলিলেন,—পাপাচারী বিদ্রোহী, তোর মৃত্যু সন্নিকট, তোর কিছু বলিবার আছে ? মৃত্যু সময়েও চজরাও নির্ভীক, তাহার দুর্দমনীয় দৰ্প অভিমান এখনও পূৰ্ব্বৰৎ ! বলিলেন,—আমি আর কি বলিব ? আপনার বিচারক্ষমতা প্রসিদ্ধ ! একদিন এই দোষে রঘুনাথকে দণ্ড দিয়াছিলেন, অঙ্ক আমাকে দণ্ড দিতেছেন, আমার মৃত্যুর পর আর একদিন আর একজনকে দণ্ড দিবেন, তখন জানিবেন, চঞ্জরাও এ বিষয়ের বিন্দুবিসর্গও জানে না, এ সমস্ত প্রমাণ জাল । এই বিদ্রুপে শিবজী মৰ্ম্মাস্তিক ক্রুদ্ধ হইয়া আদেশ করিলেন,— জন্নাদ, চন্দ্ররাওয়ের দুই হস্ত ছেদন কর, তাহ হইলে আর ঘুম লইতে পরিবে না। তাহার পর তপ্ত লৌহ দ্বারা ললাটে “বিশ্বাসঘাতক” অঙ্কিত করিয়া দাও, তাহা হইলে আর কেছ বিশ্বাস করিবে না। জন্নাদ এই নৃশংস আদেশ পালন করিতে যাইতেছিল, এরূপ সময় রঘুনাথ দণ্ডায়মান হইয়া কছিলেন,—মহারাজ ! আমার একটি নিবেদন আছে । শিবাজী। রঘুনাথ ! এ বিষয়ে তোমার নিবেদন আমরা অৰপ্ত গুলিব ; কেন না, এই পামর তোষার প্রাণনাশের যত্ন করিয়াছিল ; তাহার কি প্রতিহিংসা লইতে ইচ্ছা কর, নিবেদন কর । রঘুনাথ। মহারাজের অঙ্গীকার অলজ্য। আমি এই প্রতিহিংসা যাঙ্কা করি যে, চন্দ্ররাওয়ের কেশগ্রও কেছ স্পর্শ না করে—অনুগ্রহ করিয়া বিনা দণ্ডে মুক্তি দিন। * *