পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ কণ্ঠমালা মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন । ভারতচন্দ্র রায় । রজনী প্রায় এক প্রহর হইলে সরস্তুৰাল। পিতার আদেশে অতিথির খাদ্যের আয়োজন করিয়া দিলেন। রঘুনাথ আসন গ্রহণ করিলেন, সরযু পশ্চাতে দণ্ডায়মান রছিলেন । মহারাষ্ট্রদেশে আস্তাৰধি আহত ব্যক্তিকে পরিবারের মধ্যে কোন এক জন রমণী আসিয়া ভোজন করাইবার রীতি আছে। রঘুনাথ আহার করিতে বলিলেন, কিন্তু রঘুনাথের হৃদয় আজি চাঞ্চল্য-পরিপূর্ণ ও অস্থির। সরযু যত্ন করিয়া অনেক প্রকার আহার প্রস্তুত করিয়াছিলেন, কিন্তু রঘুনাথ অদ্য কি খাইলেন, ঠিক জানেন না। জনাৰ্দ্দন ঔৎসুক্য-লহকারে রাজস্থানের কথা কহিতে লাগিলেন, রঘুনাথ সময়ে সময়ে উত্তর দেন, সময়ে সময়ে একটু অন্তমনস্ক হয়েন। আহার শেষ হইল । শ্বেতপ্রস্তরবিনিৰ্ম্মিত আধারে সরযু মিষ্ট সরবৎ আনিয়া দিলেন, রঘুনাথ পাত্রধারিণীর দিকে সোহুেগচিত্তে চাছিলেন, যেন তাহার হৃদয় সে দৃষ্টির সহিত মিলিত হইয়া সেই কষ্ঠার দিকে ধাৰমান হইল। চারি চক্ষুর মিলন হইল, সরযুর মুখমণ্ডল লজ্জায় ঈষৎ রক্তবর্ণ হইল, মুখ অৰনত করিয়া সরযু ধীরে ধীরে