পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ * মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভত্তি . হইৰে ? তুমি এক জন সামান্ত হাবিলদার মাত্র, জনাৰ্দ্দন অতি উচ্চকুলোদ্ভৰ রাজপুত, তাছার পালিতকস্তা রাজাদিগেরও প্রার্থনীয়। কি জন্য এরূপ আশায় হৃদয় বৃথা ব্যথিত করিতেছ ? রঘুনাথ । এ বৃথা তৃষ্ণায় কেন হৃদয় দগ্ধ করিতেছ? কিন্তু যৌবনকালে আশাই বলবতী হয়, শীঘ্র আমাদের নৈরাশ হয় না, অসাধ্যও আমরা সাধ্য বিবেচনা করি, অসম্ভবও সম্ভব বোধ হয় । রঘুনাথ আকাশের দিকে চাহিয়া চাহিয়া অনেকক্ষণ কি চিন্তা করিতেছিলেন। অনেকক্ষণ পর দণ্ডায়মান হইলেন, আপন হৃদয়ের উপর উভয় বাহু স্থাপন করিয়া ক্ষণেক দণ্ডায়মান রছিলেন, মনে মনে বলিলেন,— “ভগবন, সহায় হও, অবশু কৃতকাৰ্য্য হইব। যশ, মান, খ্যাতি, মনুষ্যসাধ্য, কি জন্স আমার অসাধ্য হইবে ? আমার শরীর কি অন্ত অপেক্ষ ক্ষীণ ? বাহু কি অন্ত অপেক্ষা দুৰ্ব্বল ? দেবগণ আমার সহায় হও, আমি যুদ্ধে পিতার নাম রক্ষা করিব, রাজপুতের উচিত সম্মান লাভ করিব, তাহার পর ? যদি কৃতকাৰ্য্য হই, তাহা হইলে সরযু! আমি তোমার অযোগ্য হইব না। তখন সরযু! তোমাকে গল্পচ্ছলে আদ্যকার এই সকল কথা বলিব, তখন তোমার সুন্দর হস্তদ্বয় আমার এই কম্পিত হস্তদ্বয়ে স্থাপন করিব, তখন ঐ লাবণ্যময়ী দেহলত এই উদ্বিগ্ন হৃদয়ে ধারণ করিব, তখন ঐ স্থদর বিম্ব-বিনিন্দিত ওষ্ঠস্বর”— রঘুনাথ । রঘুনাথ । উন্মত্ত হইও না । তখন রঘুনাথ কথঞ্চিৎ শান্ত-হৃদয়ে গৃহের দিকে ফিরিলেন। সহস। দেখিলেন, একটি কণ্ঠমালা পড়িয়া রহিয়াছে,-দুইটি করিয়া মুক্ত, পরে একটি করিয়া পল,—রঘুনাথ সে মাল চিনিলেন। সেই মাল৷ পূৰ্ব্বদিন সন্ধ্যাকালে সরযু কণ্ঠে ও বক্ষঃস্থলে ধারণ করিয়াছিলেন, বোধ হয়, অলৰধানত বশতঃ ঐ স্থানে ফেলিয়া গিয়াছেন। রঘুনাথ আকাশের